গত ১৫ বছরে বাছবিচারহীনভাবে দেশি-বিদেশি ঋণ নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। পদত্যাগের সময় ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ রেখে গেছে শেখ হাসিনার সরকার।
এসব ঋণের বড় অংশই ব্যবহার হয়েছে অপরিকল্পিত প্রকল্প বাস্তবায়নে। আগামীতে অপচয় হয় এমন প্রকল্প না নিয়ে জনকল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ (মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট) সকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চীন ও কানাডার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা। বৈঠকে, সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে চীন ও কানাডাকে আহ্বান জানানো হয়। এসময় ঋণের সুদ কমানো ও পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য চীনকে আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'অনেকগুলো সমস্যা রেখে গিয়েছে। অনেকগুলো দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে তাদের টাকা শোধ করার বিষয় রয়েছে।'
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ১৮ লাখ কোটি টাকার সরকারি ঋণের চাপ নিয়েই দায়িত্ব নিয়েছে সরকার। তবে আগামীতে অপচয় হয় এমন প্রকল্প না নিয়ে জনকল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে চীন স্বাগত জানিয়েছে। এই সরকারের সাথে কাজ করতে চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এক হাজার টাকার নোট বাতিলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালউদ্দিন আহমেদ।