এ অবস্থায় ব্যাংকটি থেকে ঋণ সহায়তার কঠিন শর্ত শিথিল করার লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে জানালেন মধ্যপ্রাচ্যে সফররত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'কিছু শর্ত কঠিন হয়ে গিয়েছে। সেই শর্তগুলো যাতে সহজ করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।'
বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। অথচ তাদের সেবায় গড়ে তোলা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কাঙ্খিত সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করে আসছেন বহু প্রবাসী। নতুন ভিসায় বিদেশে যাওয়ার ঋণ সেবা নিতে গিয়ে পড়তে হয় নানান জটিলতায়। হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হয় অনেককে।
কাতার প্রবাসী একজন বলেন, 'আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে আমরা প্রবাসীরা ঋণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।'
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে তিন লাখ টাকা ঋণ নিতে হলে বিভিন্ন ডকুমেন্টের পাশাপাশি লাগে দুজন সরকারি চাকরিজীবীর সাক্ষী ও গ্যারান্টি চেক। দুই লাখ টাকা ঋণ নিতে হলে দুজন ব্যবসায়ীর সাক্ষী ও গ্যারান্টি চেক। এক লাখ টাকা ঋণ নিতে হলে একজন ব্যবসায়ীর সাক্ষী ও গ্যারান্টি চেক দিতে হয়। ডকুমেন্টের চাহিদা পূরণ করতে পারলেও সরকারি চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ীর সাক্ষী ও গ্যারান্টি চেকের শর্ত পূরণ করতে পারেন না বেশিরভাগ প্রবাসী। আবার কেউ কেউ এনআইডি নিয়েও পড়েন জটিলতায়।
আরেকজন প্রবাসী বলেন,'আমাদের যেন হয়রানি না করে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সৃষ্টি হয়েছে তা যেন আমাদের কাজে ব্যবহার হয়।'
প্রবাসীরা মনে করেন, সরকারি চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীর পরিবর্তে প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যদের সাক্ষী ও গ্যারান্টি চেক নিয়ে ঋণ দেয়া গেলে সহজ হবে সেবা প্রক্রিয়া।