বিতর্কের পক্ষের দল ছিল বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ও বিপক্ষের দল তেজগাঁও কলেজ। তুমুল বাক্যচয়নে প্রশ্নের বাক্যমালায় উঠে আসে নানা যুক্তি-পাল্টা যুক্তি।
পক্ষ দল বা সরকারি দলের বক্তারা বলেন, ব্যাংক একীভূতকরণ হলে উন্নত হবে মূলধন ব্যবস্থা। তারল্য বৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঝুঁকি প্রশমন, ট্যাক্স বেনিফিটসহ নানা খাতে সুবিধা পাবে দুর্বল ব্যাংকগুলো।
বিরোধী দল বা বিপক্ষের বক্তারা বলেন, ব্যাংক শিল্পের গতিময় অগ্রযাত্রা এখন মন্থর হওয়ার পথে। পতন ঠেকিয়ে ব্যাংক শিল্পের পুনরুজ্জীবনের জন্য প্রয়োজন কার্যকর পদক্ষেপ। এরমধ্যে একীভূতকরণ ব্যাংক শিল্পকে বিষাক্ত করে তুলবে।
বক্তারা বলেন, ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নিয়ে একীভূতকরণ বা অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া কাঙ্ক্ষিত ফল বয়ে আনবে না। একীভূতকরণের মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংকগুলোর উচ্চ খেলাপি ঋণ, সুশাসনের অভাব রাতারাতি ঠিক হয়ে যাবে না।
অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, 'আর্থিক খাত নষ্টের কারণ সুশাসনের অভাব, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণ ও তারল্য সংকট। খেলাপিরা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে এর একটি বড় অংশ বিদেশে পাচার করছে।'
তিনি আরও বলেন, 'ব্যাংক হচ্ছে অর্থনীতির প্রাণ। ব্যাংক দুর্বল হলে অর্থনীতিও দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা জরুরি।'