এখনো দেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের ৪০-৫০ শতাংশের কাঁচামাল আমদানিনির্ভর। এতে যত দরে কাঁচামাল আমদানি হয় তার ওপর নির্ভর করে রপ্তানি পণ্যের মূল্য। কিন্তু ততটাই কি ফিনিশিং পণ্যের দাম বাড়াতে পারবেন রপ্তানিকারকরা? এমন প্রশ্ন এখন বাজার ঘুরছে।
দীর্ঘদিন ডলারের দর নিয়ন্ত্রণ করা হলেও শেষ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ বাজার সমন্বয় ও আন্তর্জাতিক চাপে বাজারভিত্তিক ডলার মূল্য নির্ধারণের সিদ্ধান্তে যায় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে পুরোপুরি বাজারে ছাড়ার আগে ক্রলিং পেগ নীতিতে মধ্যবর্তী দর নির্ধারণ করে ১১৭ টাকা করা হয়। যার থেকে ১ টাকা কম বেশিতে ডলার কেনাবেচা করতে পারবে বলে প্রচ্ছন্ন নির্দেশনা মানছে ব্যাংকগুলো। তবে ৭ টাকা বাড়িয়েও এই মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য নয় বলে জানান ব্যাংকার্সরা।
পূবালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুরুর রহমান বলেন, ‘১১৭ টাকাতেও ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। রপ্তানিকারকদের কিনতে হচ্ছে আরও বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে মার্জারে যাওয়া দুই ব্যাংক ছাড়া অন্যান্য ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত হন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, বাজারভিত্তিক বিনিময় মূল্যে যাওয়া সময়ের দাবি। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক এই মুহূর্তে বিভিন্ন স্তরে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা ইতিবাচক বলে মনে করেন তারা।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘ডলারের দর বাজারভিত্তিক করার কোনো বিকল্প নেই। অন্যান্য দেশে ডলারের দাম অনেক বেশি। জোর কর এতোদিন চাপিয়ে রাখা হয়েছে। একদিনে ৭ টাকা বেড়ে গিয়েছে এইটার যথার্থ কারণ আছে। কারণ ছাড়া কোনো কিছু কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছু করে না।’
জানা গেছে, ব্যাংকার্সদের আজকের এই বৈঠকে একীভূত হওয়া ব্যাংক পদ্মা ও বিডিবিএলের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না।