ব্যাংকপাড়া
অর্থনীতি
এক সপ্তাহ ব্যবধানে সামান্যই বেড়েছে রিজার্ভ
এক সপ্তাহ ব্যবধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়েছে খুবই সামান্য। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড (বিপিএম-৬) অনুযায়ী, ৩ এপ্রিল শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯.৯৬ বিলিয়ন ডলার। যা গত ২৭ মার্চ ১৯.৪৫ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে রিজার্ভ বেড়েছে দশমিক ৫১ বিলিয়ন বা ৫১ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে এটি উঠে এসেছে। সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫.২৯ বিলিয়ন ডলার। গত ২৭ মার্চ এটি ছিল ২৪.৮১ বিলিয়ন ডলার।

সে হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে গ্রস রিজার্ভ বেড়েছে দশমিক ৪৮ বিলিয়ন বা ৪৮ কোটি ডলার।

বরাবরই ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রমজান মাসে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা যায়। কিন্তু সর্বশেষ মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল বেশ শ্লথ।

মার্চের শেষ তিন সপ্তাহ ধরে রিজার্ভের নিম্নগতি দেখা যায়। গত ২০ মার্চ বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ছিল ১৯.৯৮ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৯৯৮ কোটি ডলার। গত ৬ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত দুই সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমে ১.০৯ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী, কমে ১.১৬ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ায় দেশে ডলারের বাজার এখনো অস্থিতিশীল। ব্যাংকাররা বলছেন, কার্ব মার্কেটে ডলারের বিনিময় হার ব্যাংকের তুলনায় বেশি হওয়ায় প্রবাসীরা হুন্ডিতে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন বেশি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু পর বিশ্ববাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়, বাংলাদেশের মতো আমদানিনির্ভর দেশের রিজার্ভে যার প্রভাব পড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়। এরপর সংকটের কারণে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর ফলে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ কমে গত নভেম্বর শেষে ১৯.৩০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। এরপর আবারও বেড়ে ডিসেম্বরে ২১.৮৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল, তবে চলতি বছরের জানুয়ারি শেষে আবার কমে ১৯.৯৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়।

এভিএস