মাথাপিছু-আয়

বাণিজ্য-বিনিয়োগে ভঙ্গুর দশা, আওয়ামী মদদপুষ্ট সংগঠনগুলোকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা

কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী শাসনামলের পুরো ১৫ বছরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ছিল গোষ্ঠিতান্ত্রিকতার কবলে। একচেটিয়া সুবিধা পায় বেক্সিমকো, এস আলমসহ আওয়ামী লীগের আত্মীয়স্বজন। রিজার্ভ চুরি কিংবা শেয়ারবাজার লুটের মাঝেই চলছিল রপ্তানি হিসাবের গড়মিল। ১৫ বছরের এসব অনিয়মে যখন পুরো দেশ হাবুডুবু খাচ্ছে তখন শুধু পাচার হয় ২৮ লাখ কোটি টাকা। এর জন্য ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক বলয়ে থাকা বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর মুখে কুলুপ দেয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। আর সংস্কারের মাধ্যমে এসব অনিয়ম বন্ধ করা না গেলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক হবে না বলে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতির নানা সূচকে গরমিল: তড়িঘড়ি করে এলডিসি উত্তরণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল!

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গরমিল শুরু হয় রপ্তানি তথ্যে। যা উঠে আসে বিদায়ী অর্থবছরের শেষ সময়ে। এতে জিডিপির আকার থেকে শুরু করে কমবে মাথাপিছু আয়, অর্থনীতির নানা সূচক। এমন ভুল তথ্যের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা আর্থিক কাঠামোয় ভর করে এলডিসি থেকে উত্তরণ কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। তড়িঘড়ি করে এলডিসি উত্তরণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে আরও সময় নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

‘অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত দেশের মানুষই স্বৈরশাসন মেনে নিচ্ছে’

দেশে দেশে গণতন্ত্রের চর্চা, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া আর অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতিকে গুরুত্ব দিলে বিশ্বে কমতে পারে ধনী দরিদ্র বৈষম্য। চলতি বছর নোবেলজয়ী তিন অর্থনীতিবিদদের মতামত অনুযায়ী, গণতন্ত্রের চর্চা কঠিন হলেও এই গণতন্ত্রই এনে দেয় সমৃদ্ধি। তবে সাধারণ মানুষের গণতন্ত্রের ওপর আস্থা না থাকায় অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত অনেক দেশের মানুষই স্বৈরশাসনকে সাধারণভাবে মেনে নিচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দুর্নীতি আর স্বৈরশাসনে লাগাম টানার বিকল্প নেই বলেও মত তাদের।

মূল্যস্ফীতির সাথে বেড়েছে মাথাপিছু ঋণ, চাপও বেড়েছে সাধারণ মানুষের

মূল্যস্ফীতির সাথে বেড়েছে মাথাপিছু ঋণ, চাপও বেড়েছে সাধারণ মানুষের

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার তার ১৫ বছরের শাসনামলে ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ রেখে যায়। শেখ হাসিনা সরকার দেশ এবং বিদেশে থেকে ঋণের বড় একটি অংশ নিয়েছে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে। ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়ার সাথে বেড়েছে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ। রাষ্ট্রীয় এই ঋণের চাপ বয়ে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষ।

জিডিপি বৃদ্ধি-মাথাপিছু আয়ের সরকারি হিসাব শুধু কাগজে কলমে!

জিডিপি বৃদ্ধি-মাথাপিছু আয়ের সরকারি হিসাব শুধু কাগজে কলমে!

বিগত সরকারের আমলের সাড়ে ১৫ লাখ কোটি টাকা ঋণ, সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকার মন্দ ঋণ, রিজার্ভ ঘাটতি এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অর্থনীতির ভঙ্গুর দশা। এর উপর জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ও মাথাপিছু আয়ের সরকারি হিসাব শুধু কাগজে কলমে। তবে, গোড়া থেকে পুরো পদ্ধতি ও আইন পরিবর্তন এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে ঢেলে সাজানোর মাধ্যমে এ অবস্থার উত্তরণ সম্ভব- মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন আজ

শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন আজ

শুরু হলো শোকের মাস আগস্ট। এই মাসে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে। আবার এ মাসেই আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২৪ জন। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বকে সরিয়ে দিতে ঘাতকরা বারবার এ মাসকেই বেছে নিয়েছে। তাই যেকোনো অপতৎপড়তা রুখতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ।

রপ্তানি তথ্য সমন্বয়ে পদক্ষেপ নিলো অর্থ মন্ত্রণালয়

জিডিপি-মাথাপিছু আয় কমার শঙ্কা দূর হবে বলে প্রত্যাশা

বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রকাশিত রপ্তানি তথ্যে পার্থক্য সমন্বয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে মাথাপিছু আয় কমে যাওয়ার যে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে তা দূর হবে বলে মনে করছে দপ্তরটি।