টেকসই লক্ষ্য অর্জনের পথে এখনো অনেক সূচকে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি

অর্থনীতি
0

২০৩০ সালে টেকসই লক্ষ্য অর্জনের পথে এখনো অনেক সূচকে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে না উন্নয়ন পরিকল্পনার ঘাটতির কারণে। আর পিছিয়ে পরা মানুষদের এগিয়ে আসা ও বৈষম্য দূর হয়নি বিগত সময়ে। আজ (বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ) এসডিজিতে পিছিয়ে পরা মানুষদের নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে এ কথা জানায় বক্তারা। তারা বলেন, পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে; সেখানে প্রাধান্য দেয়া হয়নি অধিকারকে।

২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ। যার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে। সেই সাথে দেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে বৈষম্য দূর করা। আর এই লক্ষ্যপূরণে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

জাতিসংঘ বলছে, উন্নয়ন হতে হবে অধিকারভিত্তিক। বৃহস্পতিবার এসডিজিতে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে এ কথা জানায় তারা।

আলোচকরা বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের আমলে অধিকারকেন্দ্রীক উন্নয়ন বাস্তবায়ন ও বৈষম্য দূর করা যায়নি। ৫ আগস্টের পর সুযোগ তৈরি হয়েছে সব পক্ষের বক্তব্য শুনে যাচাই-বাছাই ও সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি বাস্তবায়নের।

চাহিদাভিত্তিক নীতির পরিবর্তে নাগরিক অধিকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি গুরুত্বপূর্ণ। তবে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য উন্নয়নের বড় বাধা বলে জানান আলোচকরা।

এসময় ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে পিছিয়ে পড়া মানুষের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।

সেমিনারে বলা হয়, যে সংস্কার পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা থাকবে না-গ্রহণযোগ্য হবে না।

ইএ