শীত এলেই দেশের নানা প্রান্তে শুরু হয় খেজুর গুড় তৈরির কর্মযজ্ঞ। আর তাতে কর্মচাঞ্চল্য তৈরি হয় খেজুরের গাছি থেকে গুড় তৈরির কারিগরদের।
শীতপ্রবণ অঞ্চল চুয়াডাঙ্গায় কার্তিকের শুরুতে গাছ কাটা শুরুর পর থেকে এখনও চলছে খেজুরের রস সংগ্রহের কাজ। আর তা থেকে গুড় তৈরি ও বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে জেলার কয়েক হাজার পরিবার।
গুড় উৎপাদনে প্রথম সারিতে থাকায় দেশের অন্যতম বৃহৎ খেজুরের গুড়ের হাট বসে এই চুয়াডাঙ্গায়। খেজুর গুড় ও নলেন পাটালি বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে এখন জমজমাট জেলার ঐতিহ্যবাহী সরোজগঞ্জ হাট। সপ্তাহে দুদিন হাটে দূরদূরান্ত থেকে আসেন ব্যাপারীসহ হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতা। এখান থেকেই গুড় চলে যায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, পাবনাসহ দেশের বড় বড় মোকামে। প্রতি হাটে গড়ে বিক্রি হয় ২৫০ টন গুড়, যার বাজারদর প্রায় ২ কোটি টাকা।
এদিকে গুড়ের মান ঠিক রাখতে সব খেজুর গাছকে সংক্রমণব্যাধি মুক্ত রাখতে রস সংগ্রহে নিয়মিত তদারকি করছে কৃষি বিভাগ।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মো. মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিরোধে কৃষকদেরকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছে। খেজুর গাছ বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ব্যবহার হচ্ছে, আমরা খেজুর গাছের সম্প্রসারণ হবার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলার ৪ উপজেলায় ২ লাখ ৭১ হাজার ৯৬০টি খেজুর গাছ থেকে অন্তত ১২ কেজি গুড় পাওয়া যায়। এবছর জেলায় ২ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন গুড় উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা রয়েছে।