বিপণন ব্যবস্থার মারপ্যাঁচে প্রত্যাশিত লাভ পাচ্ছেন না সিরাজগঞ্জের তাঁতিরা

বিপণন ব্যবস্থার মারপ্যাঁচে প্রত্যাশিত লাভ পাচ্ছেন না সিরাজগঞ্জের তাঁতিরা | এখন টিভি
0

ঈদ ঘিরে মুখর সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লী। নতুন নতুন ডিজাইনের নানা পণ্যে বাড়ছে ক্রেতা চাহিদা। তবে, রঙ-সুতাসহ কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং বিপণন ব্যবস্থার মারপ্যাঁচে দিন দিন কমছে লাভের অঙ্ক। প্রতিবছরই ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন অনেক তাঁত মালিক। ২০ বছরের ব্যবধানে জেলায় তাঁতের সংখ্যা নেমেছে অর্ধেকেরও নিচে।

বিরামহীন খুটখাট শব্দে চারপাশ মুখর সিরাজগঞ্জের বেলকুচির এই তাঁতপল্লী। তাঁতি, ব্যবসায়ী সবাই এখন ব্যস্ত। হাত ও মেশিন দুইভাবেই তৈরি হচ্ছে শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, থ্রিপিসসহ নানা ধরনের পোশাক। ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকগুণ বেড়েছে অর্ডার ও বেচাকেনা।

শ্রমিকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ঈদের আগে কাতান, জামদানি ও সামার জাতীয় জিনিসগুলো রপ্তানি হচ্ছে।’

আরেকজন বলেন, ‘ঈদে স্বাভাবিকের তুলনায় চাপ একটু বেশি।’

ঈদে বেড়েছে নতুন নতুন ডিজাইনের কালেকশন। অন্য সময়ের চেয়ে বিক্রিও হচ্ছে বেশ। তবে, সুতার বাজার বাড়তি হওয়ায় দিন দিন কমছে লাভের পরিমাণ। ফলে, সারা বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠতে না পারায় প্রতিবছরই ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন অনেক তাঁত মালিক।

একজন তাঁত মালিক বলেন, ‘এবার ঈদে আশানুরূপ বিক্রি হয়নি। তবে এখনো আমাদের হাতে সময় আছে। আশা করছি জিনিসগুলো বিক্রি করে এটা পুষিয়ে নিতে পারবো।’

নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁত বস্ত্রের কদর কমলেও বাঙালির নানা উৎসবে বাড়ে তাঁত পণ্যের চাহিদা। শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে তাঁত বোর্ড কাজ করছে বলে জানান কর্মকর্তা।

সিরাজগঞ্জ তাঁত বোর্ডের লিয়াজোঁ কর্মকর্তা অমিত সরকার বলেন, ‘তাঁতিরা বেশিরভাগ সময় সরাসরি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছতে পারে না। মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে তারা পণ্য বিক্রয় করছে। সেক্ষেত্রে তারা ন্যায্য মূল্যটা পায় না।’

সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৫ সালে সিরাজগঞ্জ জেলায় তাঁতের সংখ্যা ৯০ হাজার ২০০।

২০ বছরের ব্যবধানে তা কমেছে অর্ধেকের বেশি। ২০২৪ সালের তথ্য বলছে, বর্তমানে জেলায় তাঁতের সংখ্যা মাত্র ৪০ হাজারের মত।

এসএইচ