প্রবাস
অর্থনীতি
0

আমিরাতে শিল্পখাত সম্প্রসারণের সুবিধা পাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বাড়তে থাকায় উৎপাদনমুখী শিল্পখাতে সুনাম কুড়াচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। শহরের বাইরে গড়ে উঠেছে বেশকিছু শিল্পাঞ্চল। যেখানে ক্ষুদ্র বিনিয়োগের পাশাপাশি লোহা ও ইস্পাত দিয়ে গৃহস্থালির সাধারণ উপকরণ ও বাহারিপণ্য বানিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি।

দুবাই ও আবুধাবির পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে জনবহুল ও কর্মব্যস্ত শহর শারজাহ। দেশটিতে উৎপাদনমুখী শিল্পখাতের প্রসার বাড়তে থাকায় মূল শহর থেকে কিছুটা দূরে গড়ে উঠেছে ধাইদের মতো বেশ কিছু শিল্পাঞ্চল।

ধাইদের এই ওয়ার্কশপের চলছে লোহা, ইস্পাত আর টিনের মিশ্রণে আরব সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ গৃহস্থালি পণ্য তৈরি কাজ। কোনোটিতে ব্যবহার করা হচ্ছে দস্তা বা অ্যালুমিনিয়াম। কারিগরদের এমন কর্মব্যস্ততা চোখে পড়বে শারজার ধাইদসহ রাস আল খাইমাহর প্রদেশের নির্দিষ্ট কয়েকটি এলাকায়।

ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে আরব আমিরাতের ইস্পাত শিল্পে জোয়ার এনেছেন তরুণ কিছু উদ্যোক্তা। শুধু তাই নয়, এসব অঞ্চলে শিল্পায়নের ছোঁয়া লাগায়, কাজের সুযোগ পাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশি। তারা বলছেন, শীত মৌসুমে দেশটিতে গৃহস্থলি ও পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। আর দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারে জন্যে ধাতব পাত্রের জুড়ি মেলা ভার।

বাংলাদেশি শ্রমিকরা আরো জানান, শখের বাগান বাড়ি ও খামারে ব্যবহার করা যায় এমন উপযোগী পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। বিশেষ করে পশুপাখি লালন-পালনের জন্য লোহার তৈরি ঘর বা খাঁচা, পশুখাদ্যের পাত্র ছাড়াও বাগানের সৌন্দর্য বাড়ায় এমন বিলাসজাতীয় পণ্য তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে কারিগরদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব পণ্যের দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০-৫০ হাজার টাকা।

শুধু শারজাহর ধাইদ অঞ্চলে এমন ওয়ার্কশপের সংখ্যা দেড়শোর বেশি, আর সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা অন্তত ২ হাজার। কাজের অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে তাদের বেতন কাঠামো হয়। উদ্যোক্তারা বলছেন, স্থানীয়দের পাশাপাশি ওমানসহ পার্শ্ববর্তী নানা দেশ থেকে ক্রেতারা ছুটে আসেন পণ্য কিনতে।

ওয়ার্কশপের মালিকরা বলছেন, মূল্যবান ও ভারি কোন পণ্য বা সরঞ্জাম কিনতে হলে আগাম অর্ডার করতে হয়। তবে পণ্য তৈরির পর নিজস্ব পরিবহনে ক্রেতার ঠিকানায় পণ্যগুলো পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এএম