ভোরের আলো ফোটার আগেই। জেলেরা নৌকা নিয়ে ফিরছেন তীরে। চলছে মাছ নিয়ে তীরের আড়তে যাওয়ার প্রতিযোগিতা। এর মাঝেই হাঁকডাক শুরু হয়ে যায় পদ্মার পাড়ে।
জেলে, ব্যাপারী, আড়তদার আর ক্রেতাদের ভিড়ে শোনা যায় ভিন্ন ভিন্ন দাম তোলার আওয়াজ। যে দাম বেশি হাকে মাছ তার। এ দৃশ্য শরীয়তপুরের পদ্মা নদীর সুরেশ্বর মাছের আড়তের। ২৫টি আড়তে প্রতিদিন কেনা বেচা হয় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার মাছ
সুরেশ্বরের মতো এমন জমজমাট মাছের নিলামের দেখা মেলে শরীয়তপুরের পদ্মা-মেঘনা তীরের আড়তে আড়তে। ১০০টি আড়তে প্রতিদিন কেনা বেচা হয় কোটি টাকার মাছ । দিনভর চলে ইলিশ, পাঙাস, বোয়াল, চিতল, রুই, কাতল, আইড়, চিংড়ি, বেলে, ট্যাংরা, বাইনসহ বিভিন্ন মাছের বেচাকেনা।
প্রতিদিন হাজারও জেলে পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরে সংসারের খরচ জোগায়। আগে মাছ শিকারের পর দূরের হাটে যেতে হতো বেচার জন্য। তবে, এখন নদী থেকে মাছ তুলেই বিক্রি করতে পারছেন তারা, কারণ মাছ কিনতে শরীয়তপুরে ছাড়াও অন্যান্য জেলা থেকে আসেন ব্যাপারীরা।
লাভ ভালো হওয়ায় জেলেদের জাল ও নৌকা তৈরিতে আড়তদাররা দিয়ে থাকেন আর্থিক সুবিধাও। মাছ কেনা বেচার সময় লাভসহ নেয়া হয় সে অর্থ । এতে লাভবান হন দুইপক্ষই।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, নদীর তীরে আড়ত গড়ে ওঠায় মাছ কেনা-বেচা যেমন সহজ হয়েছে তেমনি ঘটছে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন।