উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন ঝিন্টু, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ফয়সাল আহমেদ বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
ওই কর্মসূচিকে প্রতিহত করতে সকাল দশটায় বালু উত্তোলনের ইজারাদার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ রয়েল বালু উত্তোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন। যেকোনো ধরনের সংঘর্ষ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এ ধরনের উদ্যোগের কথা জানিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
সকাল থেকেই সর্বসাধারণকে মাইকিং করে বিষয়টি অবহিত করা হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উপজেলা শহর জুড়ে একটি থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বুলবুল টিবিএসকে বলেন, ‘বিএনপির দুই পক্ষের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ১৪৪ ধারায় জারি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি চরের স্তুপকৃত ১০ কোটি ঘনফুট বালু নিলামে বিক্রি করে উপজেলা প্রশাসন। নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ রয়েল ৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা দিয়ে ওই বালু ক্রয় করনে।
বালু সরিয়ে নেয়ার কার্যাদেশ পাওয়ার পরই ফরিদ আহমেদের লোকজন পদ্ম নদীর চরআত্রা ও চর নড়িয়া এলাকায় অন্তত ৩০টি ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেন।
নড়িয়ার নদী ভাঙনের শিকার মানুষ ও নদীর তীরবর্তী মানুষ বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য সোচ্চার হলেও স্থানীয় প্রশাসন ওই চক্রটিকে কোনো বাধা দিচ্ছে না। এ কারণে নড়িয়ার মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে পরেছে। তাই স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ রোববার বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে। তা প্রতিহত করার জন্য একই স্থানে পাল্টা কর্মসূচি ডেকেছে ফরিদ আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির আরেকটি পক্ষ।