সেক জানান, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো থেকে শুরু করে, বন্যা পরবর্তী সহায়তা, বায়ু দূষণের হার কমানো এবং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে চলতি অর্থবছরেই বিশ্বব্যাংক দুই বিলিয়নের (২শ' কোটি) বেশি ডলার সহায়তা দিতে পারবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে সেক বলেন, ‘আমরা যত দ্রুত এবং যতটা সম্ভব আপনাকে সমর্থন করতে চাই।’ তিনি আরও জানান, দেশের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রয়োজনে ব্যাংক বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ‘নতুন প্রতিশ্রুতি ছাড়াও, বহুপাক্ষিক ঋণদাতারা বিদ্যমান প্রকল্প থেকে আলাদা এক বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত দেয়ার বিষয়েও রাজি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা দেশের সংস্কারে সব উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অতিরিক্ত এ অর্থ দেয়া হবে।’
সেক বলেন, ‘অতিরিক্ত ঋণের ফলে বিদ্যমান প্রকল্পগুলো থেকে তহবিল পুনঃপ্রয়োগ করা হবে। তবে এরপরও বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশকে যে ঋণ ও অনুদান দেবে তার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারে।’
প্রতি বছর দেশের চাকরি বাজারে ২০ লাখ লোক যুক্ত হচ্ছে। এ বিপুল সংখ্যক তরুণ ও বাংলাদেশের সংস্কারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি চিফ বলেন।
অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি হেডকে জানান, বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আর্থিক সহযোগিতার দেয়ার দিক থেকে ব্যাংকে নমনীয় থাকতে হবে। এছাড়াও ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান ভুল শাসনের পর নতুন অধ্যায় শুরুতে সহায়তা করার আহ্বানও জানান তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এ ধংসযজ্ঞের মধ্য থেকে আমাদের নতুন অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। আমাদের বড় ধাক্কা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণে মনোনিবেশ করতে হবে। তাই আমার পরামর্শ আমাদের সহায়তা করুন। আমাদের দলের একটি অংশ হয়ে উঠুন।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৫ বছরে বিদেশে পাচার হওয়া কোটি কোটি ডলার ফিরিয়ে আনার জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রযুক্তিগত সহায়তা ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘চুরি হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনার মত প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আপনাদের রয়েছে।’ শূণ্য দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ব্যাংকের সক্ষমতার প্রয়োজন হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংক পরিপূর্ণ সহায়তা করবে বলে সম্মতি প্রকাশ করেছেন সেক। তিনি বলেন, তথ্য স্বচ্ছতা ও সুরক্ষিত রাখা, ট্যাক্স সংগ্রহের ডিজিটালাইজেশন এবং আর্থিক খাতের সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় বিশ্বব্যাংক।