প্লান্ট পরিদর্শনকালে তিনি জানান, এখন থেকে তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানির উপর জোর দিবেন, আমদানিনির্ভর জ্বালানিভিত্তিক প্রকল্পে পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করবো কিন্তু বেসরকারি খাতকে প্রকৃত যোগিতার মাধ্যমে কাজ পেতে হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'আমাদের কথায় উন্নয়ন না করে প্রকৃত উন্নয়ন করতে হবে। কত মাইল রাস্তা করেছেন তা বিবেচ্য নয়, কত কম খরচে কত টেকসইভাবে কাজটা করেছেন তা বিবেচনা করা হবে। অতীতকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না কিন্তু ভবিষ্যতকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।'
ফাওজুল কবির খান বলেন, 'এই সরকার বানের জলে ভেসে আসা সরকার না, বহু ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত এই সরকার। তাই এটি খুব শক্তিশালী সরকার। এই সরকার জন প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবে। প্রকৃত উন্নয়ন ও সেবা নিশ্চিত করতে হবে। গত ১৬ বছর মানুষ কথা বলতে পারেনি এখন তারা সেটা বলতে পারবে। আগে সরকার কোনো প্রতিযোগিতা ছাড়া প্রকল্প নিয়ে ছিল। ফলে কোনো যাচাই না করেই বেশি মূল্যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে।'
বিদ্যুতের দাম কমানো হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, 'এখন আমাদের এই খাতে বছরে ৪২ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এখন থেকে কম দামে বিদ্যুৎ কেনার ব্যবস্থা করা হবে তাহলে ভবিষ্যতে বিদ্যুতের দাম কমে যাবে।'
তিনি বলেন, 'এতদিন উন্নয়ন হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রিক। এখন থেকে ঢাকার বাইরে মানুষের জন্য উন্নয়ন হবে। আঞ্চলিক উন্নয়নের ফলের জনগণ উন্নয়নের সুফল পাবে। এটা কোনো ঢাকার সরকার না, এটা কোনো দলের সরকার না। সকল বৈষম্য দূর করা এই সরকারের মূল লক্ষ্য।'
বন্যা কবলিত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িক বন্ধ রয়েছে। বন্যা পরবর্তীতে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান এই উপদেষ্টা। বর্তমান সরকারের কাছে আলাদিনের চেরাগ নেই উল্লেখ করে জানান, গত ১৬ বছরের অনিয়ম দুর্নীতি ১৬ দিনেই অপসারণ করা সম্ভব নয়। তবে, তারা সব সেক্টরের বৈষম্য নিরসনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাবেন।
আজ সকাল ১০ টায় মানিকগঞ্জে পৌঁছে উপদেষ্টা প্রথমে পৌর এলাকায় বেউথা মিফতাহুল হাফিজিয়া কওমিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিদর্শন করে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে মাদ্রাসার পাশে কবরস্থানে তার শ্বশুরের কবর জিয়ারত করেন।
কবর জিয়ারত শেষে বেলা ১১ টায় শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়ায় অবস্থিত সোলার পাওয়ার প্লান্ট পরিদর্শন করেন তিনি।