নগরীর শুকতারা শপে পোশাক থেকে শুরু করে প্রসাধনীর জগতে এই প্রতিষ্ঠানটির পথ চলা প্রায় ৫০ বছরের। এতো বছরের পরিচিত হওয়ায় ক্রেতাদের কাছেও জনপ্রিয় এই দোকান।
সেই ঈদ পরবর্তী সময় থেকেই কমেছে বেচাকেনা। সেই সাথে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বেচাবিক্রিও লাটে। চলতি মাসে তেমন ব্যবসা না হওয়ায় বিদ্যুৎ বিলসহ কর্মচারীদের বেতন-ভাতার হিসাব কষতেই নাস্তানাবুদ ব্যবসায়ীরা।
নগরীর বিভিন্ন ব্রান্ডের শোরুমগুলোর ফটকেও ঝুলছে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড়ের ছড়াছড়ি। কিন্তু বিক্রির মৌসুমে ক্রেতা কমায় অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা।
ময়মনসিংহের শুকতারা শপের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন খান বলেন, ‘সব ধরনের পণ্য আমাদের কাছে আছে কিন্তু আমরা তেমন কাস্টমার পাচ্ছি না।’
টপ ফেইস কালার কসমেটিকসের বিক্রয় প্রতিনিধি সাহরিয়া সুলতানা বলেন, ‘সামনে শীত চলে আসবে এখন যে পণ্যগুলো আছে শীতের সময় গরমের কসমেটিকস বিক্রি করতে পারবো। এতে পণ্যগুলো নষ্ট হবে।’
ময়মনসিংহে জেন্টালপার্কের ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে আমাদের ব্যবসা খারাপ দিকে যাচ্ছে।’
নিম্ন আয়ের থেকে শুরু করে সবশ্রেণির ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে গাঙ্গিনাপাড়ের বারী প্লাজাসহ বিভিন্ন বিপণিবিতান কেন্দ্র। কিছুদিন আগেও যে সিঁড়িগুলো মানুষের পদচারণায় মুখর থাকতো যা এখন অনেকটাই ফাঁকা।
এ অবস্থায় বেকায়দায় ব্যবসয়ীরা, সপ্তাহ ব্যবধানে কোটি টাকার ব্যবসা নেমে এসেছে ৫ থেকে ৬ লাখে। দ্রব্যমূল্যের চড়া বাজারে ভালো নেই ফুটপাতের কাপড় বিক্রেতারাও।
বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘রোজার ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্ত ব্যবসার অবস্থা ভালো না।’
আরেকজন বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতি যদি আরও কিছুদিন থাকে তাহলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।’
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, কয়েকদিনের ক্ষতি প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এঅবস্থায় পুনরায় ব্যবসার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান তাদের।
ময়মনসিংহের বারী প্লাজা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিঠু সাহা বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে ময়মনসিংহ শহরে ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার ব্যবসা হয় নাই।’
ময়মনসিংহে অভিজাত বিপণিবিতানসহ প্রায় ১০ হাজার ছোট বড় কাপড় ও পোশাকের দোকান রয়েছে। যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে অন্তত ৫০ হাজার মানুষের।