অর্থনীতি
0

চীন সফরে ২০টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চীন সফরে ২০টির মতো সমঝোতা স্মারক সাক্ষর হবার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অবকাঠামো উন্নয়ন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দু’দেশের অর্থনৈতিক বিষয়গুলো এই সফরে গুরুত্ব পাবে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের বিস্তারিত তুলে ধরে আজ (রোববার, ৭ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এই সফরে ঢাকার পক্ষ থেকে বেইজিংকে কৃষিপণ্য রপ্তানির প্রস্তাব দেয়া হবে। আর চাওয়া হবে শুল্ক সুবিধা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরে দু’দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী চীন। দেশে চীনের ৭০০ প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ প্রায় ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। আবার বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বৈষম্যের দিক থেকেও চীন এগিয়ে।

বাংলাদেশ যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে তার মধ্যে ২৬ শতাংশই চীন থেকে আসে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশটি থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৭৮৩ কোটি ডলারের পণ্য। এর বিপরীতে রপ্তানি হয় মাত্র ৬৭ কোটি ডলার।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এই সফরে কোনো চুক্তি না হলেও ২০-২২টি সমঝেতা স্মারক সাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণাও আসতে পারে।'

এছাড়া গুরুত্ব পাচ্ছে অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তার বিষয় বলেও জানান তিনি।

এ সময় তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চীনের সাথে কোন সমঝোতা হবে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তা যেহেতু ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নদী তাই। ভারতের প্রস্তাবটি আগে বিবেচনা করতে চাই। তবে চীন আলোচনা তুললে কথা হতে পারে।’

চারদিনের সফরে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান, রিজার্ভ সহায়তা, মোংলাসহ দক্ষিণাঞ্চলে স্থলবন্দরগুলোর উন্নয়নে সহায়তার বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘দেশের রিজার্ভ বাড়ছে। চীনের সাথে রিজার্ভ সহায়তার বিষয়ে কথা হতে পারে। কিন্তু কোনো সমঝোতার সম্ভাবনা নেই।’

এই সফরে চীনের সাথে মোংলা পোর্ট ডেভেলপমেন্টে কাজ করার বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। চীনের সাথে আমাদের ট্রেড গ্যাপ বেশি। সেটা কমাতে চাই। দেশের কৃষি পণ্য রপ্তানি করতে চাই। রপ্তানি সহজ করতে ও চীনের আমদানিকারকদের উৎসাহিত করতে আলোচনা হবে- এমনটাই জানালেন ড. হাছান মাহমুদ।

ইএ