মালয়েশিয়াতে কর্মী পাঠানোয় ব্যর্থতার পেছনে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এর সাথে জড়িত তাদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। সরকার আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। কেউ অন্যায় করে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে, তবে কাউকে দায়ী বা দোষারোপ করে লাভ নেই।’
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে খোলার পাশাপাশি কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সরকার কাজ করছে বলেও এ সময় জানান শফিকুর রহমান চৌধুরী।
এদিকে দেশটিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মী পাঠানোয় ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নিয়োগানুমতি ও বিএমইটির স্মার্ট কার্ড পাওয়ার পরও রিত্রুটিং এজেন্সি কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (৩১ মে) মালয়েশিয়াতে কর্মী প্রেরণে ব্যর্থ হওয়ার কারণ চিহ্নিতকরণে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
যে সব কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেনি তারা আগামী ৮ জুনের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্যাদিসহ (নাম, পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, রিক্রুটিং এজেন্সির নাম, পাসপোর্ট নম্বর, বিএমইটির স্মার্ট কার্ডের কপি ও অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণসহ) ই-মেইলে অভিযোগ দাখিল করা যাবে।
গত ৩১ মে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী ভিসায় যাওয়ার সময় শেষ হয়। শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করেও যেতে পারেননি কয়েক হাজার ভিসাধারী।
১ জুন থেকে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশ থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধ করে মালয়েশিয়া সরকার। ফলে চূড়ান্ত ছাড়পত্র নিয়েও যেতে পারেননি ১৬ হাজার ৯৭০ কর্মী। এর মধ্যে একটি অংশ উড়োজাহাজের টিকিট সংগ্রহ করতে পারেনি। আরেকটি অংশ মালয়েশিয়া থেকে নিয়োগকর্তার চূড়ান্ত সম্মতি পায়নি বলে বিমানবন্দর থেকে তাদের গ্রহণ করার নিশ্চয়তা পাঠায়নি নিয়োগকর্তারা।