আজ (রবিবার, ২ জুন) বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন। নতুন গঠিত এ কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'গত ৩১ মে পর্যন্ত বিএমইটি থেকে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন মালয়েশিয়া গিয়েছেন। সেই হিসাবে ১৬ হাজার ৯৭০ জনের কম-বেশি যেতে পারেননি।'
যারা এ সমস্যার জন্য দায়ী হবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, 'গঠিত কমিটি কর্মানুমতি ও বিএমইটির ক্লিয়ারেন্স কার্ড পাওয়ার পরও মালয়েশিয়াতে কর্মী প্রেরণ করতে না পারার কারণ চিহ্নিতকরণ, নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে ব্যর্থ রিক্রুটিং এজেন্সি চিহ্নিতকরণ, কমিটির নিকট মালয়েশিয়া গমন করতে পারেনি এরূপ কেউ অভিযোগ করলে তা আমলে নিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণ করবে।'
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর লক্ষ্যে সরকার বরাবরই আন্তরিক ছিল। পত্রিকায় জরুরি বিজ্ঞপ্তি সম্মিলিত বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় কর্মীদের লক্ষ্যে অতিরিক্ত ২৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে।'
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার শিগগিরই খোলার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, 'বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।'—সংবাদ বিজ্ঞপ্তি