গরু পালনকারী বা খামারিদের সংখ্যা বাড়ায় বাড়ছে গমের ভুসির চাহিদা। বিপুল চাহিদা মেটাতে যা অনেক সময়ই আমদানি করতে হয়। কোরবানির ঈদকে ঘিরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে গোখাদ্যের অন্যতম এ উপকরণের।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির পর এসব ভুসি চলে যায় হাওরসহ বিভিন্ন অঞ্চল ও জেলায়। কিন্তু চলতি বোরো মৌসুমে ধান কাটা শেষ হওয়ায় খড় আর খোলা মাঠের ঘাসেই চাহিদা মিটছে। এই অবস্থার প্রভাব পড়েছে আমদানি করা ভুসির বাজারে। প্রতি টনে ৩২০ থেকে ৩৩০ ডলার খরচ হলেও তা অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। এতে বিপাকে আমদানিকারক ও পাইকাররা।
পাইকারি দোকানদারদের একজন বলেন, 'প্রত্যেক বাড়িতে ধানের খড় থাকায় ভুসির চাহিদা কমে গিয়েছে এতে আমাদের বিক্রি কমে গিয়েছে।'
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শাহিনুর রেজা শাহিন বলেন, 'ইরি ধান উঠার পরে এর কাচা খড় দিয়ে জোগান মিটছে। যার ফলে ভুসির বাজার কমে গিয়েছে।'
এদিকে বন্দর থেকে দ্রুত ভুসি খালাস করে বাজারজাত করতে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস বন্দর কর্মকর্তার।
হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, 'আমদাকারকরা যেন সহজে দ্রুত সময়ে পণ্য খালাস করতে পারে সেই সহযোগিতা সবসময় করে থাকে হিলি স্থলবন্দর।'
কাস্টমসের তথ্যমতে, গেল জুলাই থেকে এ পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয় ১ লাখ ১২ হাজার টনের বেশি গমের ভুসি। যার মধ্যে চলতি মাসে এসেছে ৮ হাজার টন।