ত্বকের যত্ন নিয়ে সচেতন প্রায় সব বয়সী নারী। তাই দিন দিন বাড়ছে নানা ধরণের প্রসাধনীর ব্যবহার ও সৌন্দর্য চর্চা। চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে নরসিংদীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য বিউটি পার্লার।
গত ১০ বছর আগে নরসিংদী জেলায় বিউটি পার্লারের সংখ্যা ছিলো প্রায় ২০০। বর্তমানে ৫ গুণ বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে ১ হাজারের বেশি৷ সেই সাথে বেড়েছে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান।
এসব পার্লারের বিনিয়োগ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত। আর এসব পার্লারে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৫ হাজার নারীর। এর মধ্য দিয়ে সাবলম্বী হচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ হয়ে উঠছেন নতুন উদ্যোক্তা।
রাইজিংসান বিউটি কেয়ারের স্বত্বাধিকারী সাহেরা বেগম বলেন, 'আমি যখন পার্লার ব্যবসা শুরু করি তখন নরসিংদীতে মাত্র ৩-৪ টা পার্লার ছিল। এখন অসংখ্য পার্লার হয়েছে। এতেই বুঝা যাচ্ছে যে নারীরা আস্তে আস্তে স্বাবলম্বী হচ্ছে।'
বিউটিশিয়ানরা বলেন, নিজেদেরকে স্বাবলম্বী ভাবতে খুব ভালো লাগে। এই কাজ করে ভালোভাবে চলতে পারি। কাস্টমারদের সেবা দেয়ার মধ্যে একটা শান্তি আছে। আমরা খুব উপভোগ করি। সামনে আরও উন্নতি করতে পারবো বলে আশা রাখি।
বেকার নারীদের স্বাবলম্বী করে তুলতে তিন মাসের ফ্রি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সফল উদ্যোক্তা তৈরিতে সরকার কাজ করছে বলে জানান জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বিউটিফিকেশন ট্রেইনার সাবেরা বেগম।
তিনি বলেন, 'আমরা মেয়েদেরকে বিনামূল্যে ৩ মাসের প্রশিক্ষণ দেই। আমাদের মূল কাজ হচ্ছে উদ্যোক্তা তৈরি করা। এখান থেকে প্রতি বছর ৪ টা করে বেচ বের হয়।'
সেবা নিতে আসা নারীরা জানান, আগে এলাকায় ভালো পার্লার না থাকায় সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নেয়া সম্ভব হতো না। তবে এখন মানসম্মত পার্লার থাকায় তাদের ভোগান্তি কমেছে। যাচাই বাছাই করে এলাকাতে পাওয়া যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত সেবা।
সেবাগ্রহিতারা বলেন, আগে পার্লারের সংখ্যা খুব সীমিত ছিল। এখন ১ হাজারের উপরে পার্লার হয়ে গেছে। আগে সার্ভিস নেয়ার জন্য বাইরে যেতে হতো। আমরা একেবারে হাতের কাছে সঠিক সেবা পাচ্ছি।
জেলার হাজারেরও বেশি পার্লারে মাসে লেনদেন হয় অন্তত দেড় কোটি টাকা। বছরে যা দাঁড়ায় ২০ কোটির কাছাকাছি।