সফরে ব্যবসা, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকার বিষয়ে কথা বলবে ঢাকা-ওয়াশিংটন।
জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে এটি ডোনাল্ড লু'র প্রথম সফর।
এই সফরের বিষয়ে গতকাল সোমবার (১৩ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ডোনাল্ড লু'র বাংলাদেশ সফরে ভিসানীতি, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব বিষয় সহজীকরণ করার প্রস্তাব থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই বাংলাদেশের লক্ষ্য।'
এছাড়া এই সফরে ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দু’দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
ড. হাছান মাহমুদ জানান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু'র সফরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়েও জোর দেওয়া হবে।
ঢাকা-ওয়াশিংটন বৈঠকে উঠে আসতে পারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টিও। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে যেন অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানো না হয়, সে ব্যাপারে তাদের অবহিত করা হয়েছে।'