সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কার্যক্রমের রূপরেখা সংক্রান্ত উপস্থাপনা দেখেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের কতটা উন্নয়ন হবে এবং মানুষ কতটা উপকৃত হবে তা বিবেচনা করতে হবে।'
সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, 'একটা সেতু তৈরি করার আগে আমাদের ভাবতে হবে যে এটা মানুষের কতটুকু উপকারে আসবে। কারণ শুধু নির্মাণ করলেই হবে না, মানুষের উপকারে না আসলে পুরোটাই অর্থহীন। যেটা উপকারে আসবে না সেটা করবো কেন! বিনিয়োগ করার আগে চিন্তা করতে হবে এর আসলটা তুলতে পারবো কিনা।'
তিনি বলেন, 'আমরা নিজেদের সক্ষমতার পাশাপাশি বিদেশ থেকে ঋণ নেই। লোন নেয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের একটা হিসেব রাখতে হবে, ঋণের অর্থ আমাদের ফেরত দেয়ার সক্ষমতা কতটুকু। আমাদের সফলতার জন্য অনেকেই এখন আমাদেরকে প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তা বিবেচনায় রাখতে হবে।'
সরকারপ্রধান বলেন, 'সরকার রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিল এবং উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভের মধ্যদিয়ে সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেছে। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে রূপান্তর করা। আমরা সেই রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।'
এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।