আজ (বুধবার, ১৭ এপ্রিল) সম্মেলনের সমাপনী দিন স্থানীয় সময় সকালে সমুদ্রের টেকসই ব্যবস্থাপনা থিমভিত্তিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'সমুদ্রের টেকসই ব্যবস্থাপনা এমন হওয়া কাম্য যাতে করে সমুদ্র উপকূলে বসবাসকারী মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে। মানুষের একমাত্র আবাস পৃথিবী গ্রহকে টিকিয়ে রাখা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমুদ্র ও সামুদ্রিক সম্পদের দায়িত্বশীল ও সযত্ন ব্যবহার একান্ত প্রয়োজন।'
ড. হাসান এ সময় তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনা এবং সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে গৃহীত নানা উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন।
বিশ্বের দেশগুলোর জাতীয় সীমার বাইরের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বাস্তুতন্ত্রের সার্বিক উন্নয়ন এবং গ্রিন শিপিং বা পরিবেশবান্ধব নৌ-পরিবহন, যা তুলনামূলকভাবে পরিবেশের ক্ষতি কম করে, এমন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিভিন্ন দেশ প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি -স্মরণ করিয়ে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ জাতীয় সীমাবহির্ভুত জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিবিএনজে চুক্তিটি সকল রাষ্ট্রকে 'র্যাটিফাই' করা এবং মহাসাগরের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে তহবিল বরাদ্দের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
অন্যান্যের মধ্যে স্বাগতিক দেশ গ্রিস, কোস্টারিকা, কেপ ভার্দে, সাও টোমে এবং প্রিন্সেপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য দেন ।