বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল বুধবার (২০ মার্চ) শেষে বিপিএম-৬ অনুযায়ী, দেশের মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯.৯৮ বিলিয়ন ডলার। এ সময় গ্রস রিজার্ভ হয়েছে ২৫.২৪ বিলিয়ন ডলার।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ম্যানুয়ালের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ মার্চ পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২১.১৫ বিলিয়ন ডলার। তবে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে ১.২৯ বিলিয়ন ডলারের আমদানি দায় পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে যায়।
গত ১০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানিয়েছিলেন, ৭ মার্চ আকুর বিল পরিশোধ করা হয়েছে। বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমেছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষে রিজার্ভ ছিল ২৫.৭৬ বিলিয়ন ডলার। সে সময় বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ দাঁড়ায় ২০.৫৭ বিলিয়ন ডলার। এর আগে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ ছিল ১৯.৯৪ বিলিয়ন ডলার।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু পর বিশ্ববাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়, বাংলাদেশের মতো আমদানিনির্ভর দেশের রিজার্ভে যার প্রভাব পড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়। এরপর সংকটের কারণে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর ফলে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ কমে গত নভেম্বর শেষে ১৯.৩০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। এরপর আবারও বেড়ে ডিসেম্বরে ২১.৮৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল, তবে চলতি বছরের জানুয়ারি শেষে আবার কমে ১৯.৯৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়।