মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এ জনপদের চারদিক সাগর আর নদীবেষ্টিত। একসময় লবণ, জাহাজ তৈরি, কৃষি পণ্যসহ নানা কারণে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ছড়িয়ে ছিল এর নাম। কালের বিবর্তনে মানুষের পেশা ও অর্থনৈতিক চালচিত্রে এসেছে পরিবর্তন।
প্রবাসীদের একজন বলেন, 'সন্দ্বীপের অনেক লোক প্রবাসে আছে। আমরা এ উপজেলার মানুষ হিসেবে অনেক গর্ববোধ করি।'
আরেকজন বলেন, 'বাংলাদেশের যে সিংহভাগ রেমিট্যান্স আসে তার মধ্যে উপজেলা সন্দ্বীপের প্রবাসীদের থেকে ১১ শতাংশ আসে।'
আয়ের ওপর ভিত্তি করে অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে উন্নয়নও লক্ষণীয়। সেখানে গড়ে উঠছে বড় বড় স্থাপনাসহ চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ নানা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন ব্যাংকের শাখাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানেরও দেখা মিলবে এখানে।
সন্দ্বীপের উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, 'অবকাঠামো উন্নয়ন, বেকারত্ব দূর ও পারিবারিক সচ্ছলতা ফিরে আসছে। সন্দ্বীপের উন্নয়নের যে চেহারা, দিন দিন রেমিট্যান্সের কারণে পরিবর্তন হচ্ছে।'
তবে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে যাতায়াত নিয়ে দুর্ভোগের সমাধান চান স্থানীয়রা। ছোট-মাঝারি নৌযানে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। বর্ষায় উত্তাল জলরাশি এবং শীতে কুয়াশায় সংকট আরও বাড়ে। জনপ্রতিনিধি জানান, আধুনিক জেটি নির্মাণসহ কয়েকটি প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে আরও সুফল পাওয়া যাবে।
সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা বলেন, 'একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হয়েছে। যাতে এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রবাসে প্রশিক্ষিত কর্মী হিসেবে কাজ করতে পারে।'
নদীও সমুদ্রের ভাঙনে কয়েকবছরে বিলীন হয়েছে অনেক জনপদ। প্রবাসীদের দাবি, ভূখণ্ড রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার। অন্যথায়, গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বাড়লে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে।