অর্থনীতি
0

দাম নির্ধারণের পরও অনিয়ন্ত্রিত বগুড়ার বাজার

রমজানের আগে থেকেই আলোচনায় বাজারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দর। চলতি রমজানে কোনভাবেই যখন উচ্চ দরের পারদ নামছে না, তখন সরকারীভাবে ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দেয়ার পরও অনিয়ন্ত্রিত বগুড়ার বাজার।

মাছ-মাংস কিংবা মুরগির দিকে তাকানোর সামর্থ্য নেই বলে মুরগির পা কিনতে আসেন মালগ্রামের পেয়ারা বেগম। বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারে প্রতি কেজি মুরগির চামড়া ১২০, পাখা ১৬০, গিলা ১৮০ আর ব্রয়লার মুরগির পায়ের কেজি ২৬০ টাকা। বাসা-বাড়িতে কাজ করার আয়ে সামর্থ্য হয় না বলে হতাশ হয়ে ফিরে যান স্বামীহারা এই নারী।

পেয়ারা বেগম বলেন, ‘বাজারে তো সব মাংসের দাম বেশি। এজন্য মুরগির পা কিনতে আসছিলাম, সে পায়ের দামও বেশি।’

প্রতি কেজি সোনালী মুরগি ২৬২ টাকা নির্ধারণ করা হলেও ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস ছাড়া গরু ও ব্রয়লার মুরগির মাংসও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দরে।

এদিকে সরকার ৯৮ টাকা বেঁধে দিলেও প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। এমনিভাবে প্রতি কেজিতে ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা বেশি দিয়ে মুগডাল ও মাসকালাই কিনতে হচ্ছে। মসুর ও খেসারি ডালও বেঁধে দেয়া দামে মিলছে না।

ক্রেতারা বলেন, ‘বাজারে তো কোনো পণ্যই নির্ধারিত দামে কিনতে পারছি না। আর সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেই বাজারে উল্টো পরিস্থিতি দেখি। বাজারে নিয়মিত তদারকি থাকলে হয়তো নির্ধারিত দামে পণ্য পাওয়া যেতো।’

অন্যদিকে বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে বেশিরভাগ সবজি মিলছে না। ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফার বলি যখন ভোক্তা, সরকারের উদ্যোগও যখন কাজে আসছে না তখন টিসিবির আদলে বাজারে মাছ-মাংসের মতো নিত্যপণ্য সরবরাহের উদ্যোগ চাপে ফেলতে পারে ব্যবসায়ীদের। এমনটাই মনে করেন বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সহ-সভাপতি মাহফুজুল ইসলাম রাজ।