রমজানে ইফতারিতে চাহিদার শীর্ষে থাকে ছোলা। বছরে এ পণ্যের চাহিদা দুই লাখ টনের বেশি। এর মধ্যে শুধু রমজানেই চাহিদা থাকে ১ লাখ টনের কাছাকাছি।
রোজা শুরুর আগেই কয়েক দফা বেড়েছে ছোলার দাম। এবার রোজার তৃতীয় দিনে এসে বাড়লো আরও একদফা। খাতুনগঞ্জের বাজারে কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়ে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৯৮ থেকে ১০৬ টাকায়।
সরবরাহ সংকট থাকায় দাম বেড়েছে খেসারির। রমজানে পেঁয়াজু তৈরিতে ব্যবহৃত এ ডাল সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়।
সপ্তাহ ব্যবধানে অন্যান্য ডালের দামও বেড়েছে পাইকারিতে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। বাজারে মুগডাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৮০, মসুর ১০৩ থেকে ১২৭ টাকা, মটর ৭৫ টাকা আর অ্যাংকর বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭৬ টাকায়।
খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি মো. সোলাইমান বাদশা বলেন, 'ভারত থেকে যে পণ্যগুলো আসতেছে সেখানে ৫ শতাংশ কর বসানো হয়েছে। তাই দাম বেড়ে গেছে। এমনিতে খেসারি ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে থাকে। এখন বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকার মধ্যে। বাজারে কোন স্থিতিশীলতা নাই।'
রমজানের শুরুতে চাহিদা বাড়ায় সরবরাহ ঘাটতির কারণে বেড়েছে দাম। দুই-একদিনের মধ্যে দাম কমে আসবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।