ছোট বড় মিলিয়ে কয়েক হাজার ট্রলার রয়েছে উপকূলীয় জেলা বরগুনায়। এখানকার লাখ সংখ্যক জেলের জীবন-জীবিকা চলে এসব ট্রলারে ভর করে। জেলায় ট্রলার তৈরি ও মেরামতের জন্য জেলায় রয়েছে ৩০টি ডকইয়ার্ড। এসব ডকইয়ার্ডে শ্রমিকের সুনিপুণ হাতে তৈরি হয় নানা ধরনের সমুদ্রগামী ট্রলার।
সমুদ্র কিংবা নদী মোহনায় মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকলে বরগুনার ডকইয়ার্ডে বাড়ে ব্যস্ততা। কেউ আসেন শখের বাহন মেরামত করতে আবার কেউ আসেন নতুন ট্রলার তৈরি করতে। এতে আয় বাড়ায় স্বচ্ছল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এ পেশার সাথে জড়িত শ্রমিক ও ট্রলার মালিকরা।
একজন শ্রমিক বলেন, 'এখানে কাজের মান অনেক ভালো। চট্টগ্রাম, ভোলা আরও বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে মানুষ আসে ট্রলারের কাজ করতে। একটা ট্রলার তৈরি করতে প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ হয়। এখানে নতুন, পুরাতন সবধরণের বোট মরামত করা হয়।'
বরগুনার ডকইয়ার্ডে তৈরি ট্রলারের সুখ্যাতি থাকলেও এখন জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ শিল্প ঘিরে সম্ভাবনা যেন আটকে রয়েছে মাঝপথে।
ডকইয়ার্ড শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারে সহযোগিতার আশ্বাস জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলামের। বলেন, 'সরকারি যে দপ্তর আছে বিশেষ করে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রনালয়। তাদের মাধ্যমে এখানে যেন সুযোগ সুবিধা ভালো হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।'
বরগুনার ট্রলার ডকইয়ার্ডে কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক হাজার মানুষের। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ ও কারিগরদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ শিল্পের সম্প্রসারণ করা হলে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে উপকূলের মৎস্য আহরণ।