এরইমধ্যে পরিপক্ক হওয়া চিয়া সিড কেটে দেশিয় পদ্ধতিতে মাড়াই শুরু হয়েছে। বাজারে প্রচুর চাহিদা ও দাম বেশি পাওয়ায় অন্য ফসল থেকে অন্তত তিনগুণ বেশি আয় করছেন চাষিরা। চলতি মৌসুমে আবাদকৃত জমি থেকে অন্তত ৬০০ মণ চিয়া সিড উৎপাদন হবে।
চাষিরা বলেন, 'গত বছরে আমরা অল্প পরিমাণে চিয়া সিড চাষাবাদ করি। সেখানে ভালো একটা ফলন পাই। এবারও আশাবাদী।'
আগের বছর ভালো ফলন পাওয়ায় এবার আরও বেশি জমিতে এই বীজের চাষ করেছেন এই জেলার চাষীরা। অনেকে এখান থেকে বীজ নিয়ে যাচ্ছেন চাষাবাদ করার জন্য।
চাহিদা অনুযায়ী দেশে চিয়া সিডের বাজার অনেক বড়। উচ্চমূল্যের এই ফসলের আবাদ বাড়ালে আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। বলেন, 'আমাদের বাজার অনেক বড়। ১৭ কোটির উপরে মানুষ। এত বড় বাজার। এইটা চিন্তার বাইরে। যেখানে সুযোগ আছে সেখানে উচ্চমূল্যের ফসল চাষ করে আমাদের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে ফেলতে পারবো।'
নতুন এই ফসল চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে মাঠ পরিদর্শন করছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। জানান, চলতি বছর জেলায় প্রায় ১শ' বিঘা জমিতে চাষ হয়েছে এই ফসলের। যাতে বাণিজ্য হবে অন্তত ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
আগে এখানে গম, ভুট্টা, তিল, সরিষা চাষ হলেও অধিক লাভের কারণে এখন চিয়া সিড চাষের দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা। এ বীজ চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ১০ হাজার টাকা খরচ হলেও আয় হয় ৫০ হাজার টাকা। তবে দেশের বিভিন্ন বাজারে এটি সরাসরি বিক্রি করতে পারলে আরও বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব বলে মনে করেন কৃষকরা।