প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে মেলার উদ্বোধন করবেন। এরপর বিকেল থেকেই মেলা সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
মেলার গেটে পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেপলিকা। ছবি: এখন টিভি।
মেলায় এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেলের আদলে করা হয়েছে মেলার প্রবেশ পথ। শুধু তাই নয়, প্রধান ফটকের দুই পাশে করা হয়েছে দেশের প্রায় সবগুলো বড় মেগা প্রকল্পের রেপলিকা। পদ্মা সেতু থেকে শুরু করে, বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র কিংবা মেট্রোরেল, সবই আছে বাণিজ্য মেলার গেটে।
মেলার গেটে ধানমন্ডি-৩২ এর আদলে তৈরি স্থাপনা। ছবি: এখন টিভি।
তবে মেলার ভিতরে মূল ভেন্যুতে প্রবেশ করার পর হঠাৎ করেই মনে হতে পারে এ যেন ধানমন্ডি-৩২ নম্বর। কারণ ভেন্যুর মুখেই করা হয়েছে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাড়ির আদলে একটি স্থাপনা। মূলত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাকে আকর্ষণীয় করতেই এ আয়োজন।
যেহেতু রাত পোহালেই আয়োজনের শুরু, তাই শেষ সময়ের প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। হাতুড়ির ঠকঠক শব্দ আর রঙ-তুলির আঁচড়ে সেজে উঠছে পুরো মেলা চত্ত্বর। কেউ কেউ আবার ব্যস্ত স্টলে পণ্যের পসরা সাজাতে।
সাধারণত প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্য মেলা শুরু হলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ডামাডোলে এবার মেলা শুরু হচ্ছে ২১ জানুয়ারি থেকে। তাই প্রস্তুতি নিতে কিছুটা সময় বেশি পেয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা।
মেলায় এবার ৯ ক্যাটাগরিতে প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন ৭২টি, ২৩০টি স্টল আর ৩০টি রেস্তোরাঁ'র জন্য স্থান বরাদ্দ দিয়েছে ইপিবি। যেখানে একেকটি প্যাভিলিয়ন পেতে ১১ থেকে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত গুণতে হয়েছে উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীদের। স্টলে ৩ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা আর রেস্তোরাঁ নিতে গুণতে হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১৭ লাখ টাকা।
আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রতিমন্ত্রী , বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ছবি: বাণিজ্য মেলা, ঢাকা।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, 'এবারের আসরে ৬টি দেশের ১৬ থেকে ১৮টি বিদেশি স্টল অংশ নিচ্ছে। এছাড়া ইউটিলিটি সার্ভিস বুথের পাশাপাশি মেলায় থাকবে ৪টি ব্যাংকের একাধিক করে এটিএম বুথ।'
নিরাপত্তা ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য পর্যাপ্ত কর্মী থাকবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'ক্রেতারা যাতে কোনভাবে প্রতারিত না হন, প্রথম দিন থেকেই সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
মেলার আশপাশের সড়ক যানজটমুক্ত করতে বিশেষ ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি এবার প্রথমবারের মতো ফার্মগেট থেকে বিশেষ বাস সার্ভিস থাকবে বলেও জানান তিনি।
আগের বছরের তুলনায় মেলার প্রবেশমূল্য বেড়েছে। বড়দের জন্য ১০ টাকা বাড়িয়ে প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা আর ছোটদের ৫ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৫ টাকা।