অর্থনীতি
0

রাজশাহীতে জমজমাট শীতবস্ত্র বেচাকেনা

শীত এলেই ব্যবসা বাড়ে গরম কাপড়ের। ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত থাকে নগরীর দোকানগুলো। অভিজাত কিংবা ফুটপাত সবখানেই বেচাকেনা বাড়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা।

ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে বাহারি ধরনের শীতবস্ত্র আনেন দোকানিরা। ক্রেতাদের রুচি ও চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে দোকানে তোলেন জ্যাকেট, সোয়েটার, জাম্ব জ্যাকেট, হুডি, শাল, ডেনিম জ্যাকেট, কার্ডিগানসহ নানা ধরনের গরম পোশাক। এছাড়া শীত উপলক্ষে রয়েছে বিশেষ ছাড়, যা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে।

বিক্রেতারা বলেন, ‘অক্টোবরের শেষ দিকে আমাদের পোশাক সংগ্রহ হয়ে যায়। আর নভেম্বর থেকে বিক্রি শুরু হয়। ডিসেম্বরে শীত বেশি থাকায় চাপ অনেক বেশি ছিল।’

অভিজাত পাড়ার বাইরেও ছিন্নমূল কিংবা হতদরিদ্র মানুষদের সুবিধায় গরম কাপড়ের দোকান বসেছে ফুটপাতে। ভ্রাম্যমাণ এসব দোকানগুলোতে স্বল্প মূল্যের শীতবস্ত্র পাওয়া যায়। দাম কম হওয়ায় প্রতিদিনই কম্বল-শীতের কাপড় কিনতে এসব দোকানে ভিড় করছেন নিম্ন-মধ্যবিত্তসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ক্রেতারা বলেন, 'এখানে দাম অনুযায়ী কাপড় খুব ভালো। যে কারণে এখান থেকেই কেনা হয়। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকার মধ্যে যেগুলো নিয়েছি সবগুলোর মান ভালো।'

রাজশাহীর গণকপাড়া, রাণীবাজারসহ কোর্ট মার্কেটের চার শতাধিক বিক্রেতা গরম কাপড়ের যোগানে প্রতি শীত মৌসুমেই লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। বেচাকেনা শুরু হয় নভেম্বর মাসের শুরু থেকে, যা ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত চলে। এই চার মাসে প্রায় ৫০ থেকে ৮০ লাখ টাকার ব্যবসা করেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, 'শীত বেশি হলে বিক্রি বেশি হয়। সবদিন বেচাকেনা একরকম হয় না। ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়, প্রায় ৪ মাস ব্যবসা করি'

শীতের মাত্রা ভেদে কখনও কখনও কোটি টাকা ছাড়ায় এই ব্যবসার বেচাকেনা। আর নগরীর চার মার্কেটে অন্তত সাড়ে তিন কোটি টাকার ব্যবসা হয়।

কার্তিক-অগ্রহায়ণ পেরিয়ে পৌষের শুরুতে রাজশাহী জনপদে শীত জেঁকে বসেছে। যা মাঘে এসে তীব্রতা বাড়িয়েছে। এতেই যেন লাভের মুখ দেখছেন শীতবস্ত্রের বিক্রেতারা। গত দুই মাসের লোকসান এবার উঠে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।