সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে ক্ষতি ১৭-১৯ হাজার কোটি

0

দিন দিন দেশের সড়ক-মহাসড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনা এবং এর প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ বছরে ১৭ থেকে ১৯ হাজার কোটি টাকা। দুর্ঘটনার কারণে বছরে জিডিপির ১.৬ শতাংশ হারাচ্ছে বাংলাদেশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে বুয়েটের তথ্য বলছে, গড়ে প্রতিদিন সড়কে ৭-৮ জন মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। সেই সাথে দুর্ঘটনার পর বাড়ছে পরিবহন মেরামত আর আহতদের চিকিৎসা ব্যয়।

সাধারনত চালকরা দিনের দুই ভাগে কাজ করেন। বিশ্রাম না নিয়ে একনাগাড়ে ৪৮ থেকে ৯৬ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনার কারণ হবার কথাও জানা যায়।

|undefined

বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, জানমালের ক্ষতি ও দুর্ঘটনা থেকে সৃষ্ট যানজট অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। দেশের কর্মক্ষম ব্যক্তিরাই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত হচ্ছে বেশি।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, 'সড়ক দুর্ঘটনা আকস্মিকভাবে ঘটে, পূর্ব কোনো সংকেত থাকে না। ফলে এটা আমাদের অর্থনীতিতে বড় একটা ধাক্কা। জিডিপি হিসেবে প্রায় ১.৬ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীগুলো কিন্তু আর জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারছে না।'

পুলিশ বিভাগ বলছে, ট্রাফিক আইন অমান্যদের প্রতি পুলিশ,প্রশাসন আগেও কঠোর ছিল এখনো আছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান বলেন, 'ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।

আমাদের অবকাঠামোগত অনেক উন্নতি হয়েছে। যেখানে যে নাগরিক সুবিধাগুলো আছে সেগুলো গ্রহণ করতে হবে। সুষ্ঠু স্বাভাবিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার স্বার্থেই কিন্তু এগুলো করা হয়েছে।'

২০১৯ সালে আগষ্ট মাসে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৬তম সভায় সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটি ৭টি সভার মাধ্যমে দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে প্রতিবেদন জমা দেয়। সভায় সুপারিশগুলো সংযোজন, পরিবর্তন করে অনুমোদন করা হয়। কিন্তু ২০২৪ এর দ্বার প্রান্তে এসেও সুপারিশ কার্যকর ও অনুসরণের লক্ষণ নেই সড়ক মহাসড়কে। রিকশা, অটোরিকসা, ও বিচিত্র ধীরগতির বাহন এখনও সড়কপথকে রেখেছে ঝুঁকির মধ্যে।

এসএসএস

আরও পড়ুন: