দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদান অনেক। আর তাই প্রবাসীদের সম্মান জানাতে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছে জাতীয় প্রবাসী দিবস। প্রবাসী আয় বাড়ানো, প্রবাসীদের কাজে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্যই এই দিবস প্রতিবছর পালন করবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রবাসীদের এনআইডি কার্ড ও ভিসানীতি সহজ করার কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি রোডম্যাপ দিয়েছেন। ২০৪১ সালে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো। তার জন্য প্রবাসীদের প্রতি সেবার মান উন্নত করতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হটলাইন চালু এবং ডিজিটাল প্যাকেজ অর্ন্তভূক্ত করেছে।'
সভাপতির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ প্রবাসীদের দক্ষতায় গুরুত্ব দিতে আহ্বান করেন।
তিনি বলেন,'প্রবাসীদের অবদানের কারণে দেশ এখনো অর্থনৈতিকভাবে সচল রয়েছে। কাগজে কলমে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর কথা উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে আমরা অদক্ষ শ্রমিক পাঠাচ্ছি। এর থেকে আমাদের সরে আসতে হবে।'
চলতি বছর প্রতিমাসে গড়ে কাজের আশায় বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন গড়ে ১ লাখের উপর জনশক্তি। বছর শেষে সেই সংখ্যা ছাড়িয়েছে রেকর্ড ১২ লাখ। ২০১৯ সালে যে সংখ্যা ছিলো ৭ লাখ আর করোনার জন্য ২০২০ এ সেই সংখ্যা ২ লাখের ঘরে নেমে আসে। এরপর থেকে ফের বাড়তে শুরু করে বিদেশযাত্রার প্রবণতা। ২০২১ সালে গেছেন ৬ লাখের বেশি মানুষ। আর গত বছর গেছেন ১১ লাখ ৩৬ হাজার।
এই বিপুলসংখ্যক বিদেশযাত্রার পরও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে না প্রবাসী আয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে নভেম্বরে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯৩ কোটি ডলার। যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে মাত্র ২১ শতাংশ বেশি।