অর্থনীতি
0

পরিবারের আয়ের ৪২ শতাংশ খাবার খরচ

চাল, ডাল, তেল থেকে আলু কিংবা পেঁয়াজ, দাম আকাশ ছুঁতে বাদ পড়েনি কিছুই। যেখানে আয়ের সিংহভাই চলে যায় বাজার খরচে।

অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া নিত্যপণ্যের দামে সংসার চালানো যেন দায় স্বল্প আয়ের মানুষের। যেখানে একটি পরিবারের ৪২ শতাংশই চলে যায় খাবার কেনার পেছনে আর বিদ্যুৎ কিংবা ঘরভাড়ায় চলে যায় ১৪ শতাংশ।

গেল নভেম্বরে গড় মূল্যস্ফীতি ঠেকেছে ৯.৪৯ শতাংশে। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে গিয়ে খরচ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে। যদিও বেড়েছে আয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে ছয় বছরে পরিবার প্রতি গড় আয় দ্বিগুণ বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে ব্যয়ও।

২০১৬ সালের তুলনায় ২০২২ সালে পরিবার প্রতি মাসিক গড় আয় বেড়েছে ১০২.৭৯ শতাংশ। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক বাস্তবায়িত 'হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সারভে' প্রকল্পের ২০২২ সালের জরিপের মূল রিপোর্ট প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা জানানো হয়।

বিবিএসের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৬ সালের তুলনায় ২০২২ সালে পরিবারের মাসিক গড় আয় বেড়েছে ১০২.৭৯ শতাংশ। ২০২২ সালে প্রতি পরিবারে মাসিক গড় আয় ৩২ হাজার ৪২২ টাকা যা ২০১৬ সালে ছিল ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা।

তবে আয় বাড়লেও ২০১৬ সালের তুলনায় ২০২২ সালে আয় বৈষম্যও বেড়েছে। যা ২০২২ সালে ০.৪৯৯% এবং ২০১৬ সালে যা ছিল ০.৪৮২%।

তবে ২০২২ সালে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত ব্যয়ের ধারায় পরিবর্তন হয়েছে। খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ক্রমান্বয়ে বাড়লেও কমেছে খাদ্য ব্যয়ে। যা দাঁড়িয়েছে ১.৯ শতাংশে। একই হারে বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত ব্যয়। ফলে মাছ, মাংসের মতো ব্যয়বহুল খাবার কমিয়ে ফল খাওয়া বাড়িয়েছে মানুষ।

২০২২ সাল শেষে প্রতি মাসে একটি পরিবার খাবারের পেছনেই গড়ে ব্যয় করে ১৪ হাজার ৩ টাকা। অথচ ২০১৬ সালেও এ ব্যয় ছিল মাত্র ৭ হাজার ৩৫৪ টাকা।

বিবিএসের প্রতিবেদনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। তবে ভবিষ্যতে গবেষণার পরিধিকে আরও বাড়ানোর পরামর্শ মন্ত্রীর।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি পরিবারে শীর্ষ ব্যয়ের খাত খাবার কেনা যেখানে খরচ হয় ৪২ শতাংশ। যেখানে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ২১.১১ শতাংশ মানুষ।

এসএস

আরও পড়ুন: