কুমিল্লার গোবিন্দপুরের ইউনানী চিকিৎসক জাকির হোসেন। বাড়ির আঙিনা থেকে শুরু করে ফসলি মাঠ, চাষ করেছেন প্রায় দেড়শ' প্রজাতির ওষধি গাছ। এর মধ্যে শুধু ৮০ শতক জমিতে আবাদ করেছেন বিটরুট।
জাকিরের ভাই শাহনেওয়াজও আয়ূর্বেদিক চিকিৎসক। তার বাড়িজুড়ে রয়েছে ননীফল, করসল, লাল চন্দন, সাদা চন্দন, আলু বোখারা, লেমন গ্রাস, নিশিন্দা, সুইট বাঁচিল, এভোকাডো, মরিঙ্গা, পানপরাগের মতো দুর্লভ ওষধি গাছ। বিটরুটসহ এসব গাছ চাষ করে বেশ লাভবান তারা।
উদ্যোক্তা জাকির হোসেন বলেন, ‘২ থেকে ৩শ’ কেজি ফলন তুলছি। সেটা উঠিয়ে বাজারে দিয়ে দিচ্ছি। আমাদের ৮০ শতকে খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। এভাবে হয়তো ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা হবে।’
উদ্যোক্তা শাহনেওয়াজ বলেন, ‘প্রতিদিনই আমাদের এখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক এসে ভিড় জমাই।’
ক্যান্সারসহ নানা দুরারোগ্য ব্যাধি নিরাময়ে এসব ওষধি গাছের চাহিদা রয়েছে বেশ। ৯০ দিনে পরিপক্ব হয়ে যাওয়ায় মাঠ থেকে বিটরুট সংগ্রহ করেন ভোক্তারা।
ভোক্তাদের একজন বলেন, ‘যেহেতু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তাই এখান থেকে আমরা কিনে নিয়ে যায়।’
আরেকজন বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী এই কারণে এখানে এসে দেখে নিচ্ছি।’
কৃষি বিভাগ বলছে, একই ধরনের ফসলের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বৈচিত্র্যময় চাষ করে বেশি লাভ করতে পারছেন চাষিরা।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আইয়ুব মাহমুদ বলেন, ‘উপপরিচালক বিটরুট হচ্ছে খুবই গুণাগুণ সম্পন্ন।’