আজ (মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল) দুপুর থেকে দফায়-দফায় মিছিল স্লোগানে উঠে ভিসি পদত্যাগের দাবি।
গেল ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের পর থেকে হল খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার, ২ মে হল খোলা ও ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সোমবারের (১৪ এপ্রিল) সিন্ডিকেট সভায়।
তবে তা প্রত্যাখান করে আজ বেলা ১২টার পর থেকে বিক্ষোভে নামে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় নেয়া ৬ দফা দাবি পরিণত হয় এক দফায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাসুদের পদত্যাগের একদফা দাবিতে ক্যাম্পাসে মিছিল শুরু করেন তারা। এরসময় হলের তালা খুলে দিতে শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ জানানো হলেও তা না মানায় তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন বিক্ষুব্ধরা।
শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘হামলা করেছে। এরপর পুলিশ প্রবেশ করেছে ক্যাম্পাসে। নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন হয় এইটা আমি এই প্রথম দেখলাম।’
পরে দুপুরে ২টার দিকে প্রথমে ফজলুল হক হলের তালা ভাঙা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। অমর একুশে হল, ড. এম এ রশিদ হলসহ একে একে ৫টি হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে শতাধিক শিক্ষার্থী।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কুয়েটের রেজিস্টার মো. আনিসুর রহমান ভূঁঞা বলেন, ‘সিন্ডিকেট সভায় হলগুলো আগামী ২ মে খুলে দেয়া সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। আর শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’
এদিকে, কুয়েট শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা ও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও ভিসির পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে সাবেক শিক্ষার্থীরা। বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীদের সাথে বহিরাগতদের কয়েক দফার সংঘর্ষ ঘটনার শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় আবাসিক হল ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।