বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম ঊধ্বর্গতি। সাধ্য না থাকায় অনেক পরিবারে পুষ্টি জোগান দেয়া সম্ভব হয় না। বাজারে প্রতিকেজি দুধ প্রকারভেদে ৭০-৭৫ টাকা কেজি। দাম বেশি হওয়ায় অসচ্ছল পরিবারের গর্ভবতী গৃহবধুদের পক্ষে দুধ কিনে খাওয়া সম্ভব হয়না। আধাইপুর ইউনিয়নের এমন অসচ্ছল ৫০ জন গর্ভবতীকে পুষ্টি জোগান দিতে বিনামূল্যে গরুর দুধ দেয়ার উদ্যোগ নেন সমাজসেবক মোস্তাফিজুর রহমান শিশির। ৪০ টি গ্রামে ৫০ জন গর্ভবতী প্রত্যেককে ৪কেজি করে দুধ দেন তিনি। বিনামূল্যে গরুর দুধ পেয়ে খুশি অসচ্ছল ও দরিদ্র গর্ভবতী মা ও তাদের স্বজনরা।
উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের গৃহবধূ শাকিলা আক্তার বলেন, 'দিনমজুর দরিদ্র স্বামী। বাজারে দুধ প্রায় ৭০টাকা কেজি। এতো দাম দিয়ে কিনে খাওয়া সম্ভব না। প্রথম সন্তান জন্মদিতে যাচ্ছি। বিনামুল্যে ৪কেজি দুধ পেয়েছি। যা আমার জন্য খুবই উপকারি হবে বলে আশাবাদী।'
বসন্তপুর গ্রামের গৃহবধূ জনি বেগম বলেন, 'আমার মেয়ের প্রথম সন্তান হবে। জামাইয়ের পরিবার দরিদ্র। কষ্টে সংসার চলে। যে দুধ পেলাম মেয়ের জন্য শরীরে পুষ্টির জোগান দিবে। এতে মেয়ের জন্যও সুবিধা হবে। আমি খুবই খুশি।'
সমাজসেবক মোস্তাফিজুর রহমান শিশির বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামের অসচ্ছল গর্ভবতী মায়েরা পুষ্টিহীনতায় ভোগেন। সুস্থ সন্তান জন্মদানে পুষ্টির বিষয়ে অনেকে সচেতন না। আধাইপুর ইউনিয়নের ৪০টি গ্রামের ৫০ জন অসচ্ছল গর্ভবতী মাকে মাসে ৪ কেজি করে গরুর দুধ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যা আগামী ১০ মাস পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। পাশাপাশি সন্তান সুস্থতায় তাদের অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে। আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা শুরু করেছি। সমাজে অনেক বৃত্তবান আছেন তারাও উৎসাহিত হয়ে আগামীতে এগিয়ে আসবেন বলে আশাবাদী।'