বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি উন্মোচনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। প্রায় লক্ষাধিক দর্শকের উপস্থিতি ছিল এই অনুষ্ঠানে।
দর্শক-শ্রোতাদের উল্লাসে নিজেও মেতে উঠেন জেমস। গানে গানে ট্রফি উম্মোচন অনুষ্ঠান রঙিন করে তোলেন তিনি।
এছাড়াও পারফর্ম করেন আরো অন্যান্য জনপ্রিয় ব্যান্ড শিল্পিরা। বিকেল থেকেই শুরু হওয়া কনসার্ট, চলে রাত পর্যন্ত।
এর আগে দুপুর থেকে টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলাসহ আশপাশের জেলা থেকে জেমসের ভক্তরা স্টেডিয়ামে উপস্থিত হওয়া শুরু করেন।
আরো পড়ুন:
আয়োজক কমিটি জানায়, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে এই ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চ্যাম্পিয়নশিপের চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানুসহ বিএনপির নেতা ও আয়োজক কমিটির সদস্যরা।
মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানবীর আহমেদ বলেন, ‘মঞ্চে জেমস মানেই যেন অন্য রকম উন্মাদনা। দর্শকদের পাগলামো আর হৈ-হুল্লোড়ের সাথে সাথে এই রকস্টারও মেতে উঠেন।
শহরের আকুর টাকুর পাড়ার বাসিন্দা ষাটোর্ধ আজগর আলী বলেন, ‘ইতোপূর্বে টাঙ্গাইলে এতো দর্শক নিয়ে কেউ প্রোগাম করতে পারেনি। আজ শহিদ মারুফ স্টেডিয়াম ও আশপাশের এলাকায় তিল ধারণের ঠাই নাই। সব মিলিয়ে লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি ছিল।’
কলেজ শিক্ষার্থী সুমাইয়া রহমান বলেন, ‘অনুষ্ঠানে আসতে অনেক বেগ পোহাতে হয়েছে। গুরু জেমসের গান শুনে তা পূরণ হয়েছে। জেমস টাঙ্গাইলে এসে এক নতুন ইতিহাস তৈরি করলেন।’
চ্যাম্পিয়নশিপের চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বাংলাদেশের শিল্পীদের ব্র্যান্ডিং করার জন্য বিভিন্ন প্রোগাম হাতে নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিন্দুবাসিনী চ্যাম্পিয়নশীপে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছি। আমাদের প্রথমেই লক্ষ্য রাখতে হবে, সবার আগে বাংলাদেশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৭ বছর পরে ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে। তারেক রহমানের নির্দেশে ফ্যাসিবাদ বিদায়ের জন্য সকলে মিলে ভূমিকা পালন করেছে। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত ও কিশোর গ্যাং মুক্ত আদর্শিক টাঙ্গাইল গড়ে তুলতে চাই। সকলের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সফল হয়েছে।’
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, ‘পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ছিল। দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়েছে।’