ছুটির দিন হওয়াতে নার্সারিতে পড়ুয়া মেয়ে তাহিয়া শাহরীকে নিয়ে বইমেলায় এসেছেন চাকরিজীবী বাবা। বইয়ের স্টলে ঘুরে ঘুরে শিশু তাহিয়ার পছন্দের বই কিনে দিচ্ছেন তিনি। যেখানে জলপরি, বাঘ, মিনা কার্টুনের ছবিই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। বাবা হিসেবে তার প্রত্যাশা ছোটবেলা থেকেই সন্তান বইপ্রেমী হোক।
তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে যেন বাচ্চার বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ে, এজন্যই নিয়ে আসা। মেলার পরিবেশ যথেষ্ট ভালো। বাচ্চারা বেশ উৎসাহের সঙ্গে বই কিনছে।’
তাহিয়ার মতো অনেক শিশু সকাল থেকে মেলা প্রাঙ্গণে এসে ভিড় করে। কারণ, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সিসিমপুরের শিশু প্রহর আয়োজন। যেখানে টুকটুকি-হালুম-ইক্রির সঙ্গে মেতে উঠে আগত শিশুরা।
এক শিশু বলে, ‘আমি বই পড়তে খুব ভালোবাসি। আর অনেকদিন পর সিসিমপুর দেখতে পেয়ে খুব খুশি হয়েছি।’
শিশুদের জন্য সবসময় এমন আয়োজনের দাবি জানান অভিভাবকরা। বলেন, ‘ছুটির দিন হওয়ায় বাচ্চাদেরকে নিয়ে আসলাম। তাদেরকে অনেকগুলো বই কিনে দিবো। আর সিসিমপুর বাচ্চারা অনেক পছন্দ করে।’
বিক্রেতারা বলেন, ‘শুক্র-শনিবারকে কেন্দ্র করে মেলা প্রাঙ্গণে শিশুদের আনাগোনা বাড়ে। তারা বেশিরভাগই গল্প ও কৌতুকের বই কিনে।’
পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব সকলের সঙ্গে ছুটির দিন মিলে যাওয়ায় মেলায় আসার কথা জানান পাঠক-দর্শনার্থীরা। বলেন, ‘শীতের পরে বসন্তের আনাগোনা, একটা অন্যরকম পরিবেশ। বাচ্চাদের বই কিনে দিলাম, সবমিলিয়ে খুব ভালো লাগছে।’
বইমেলা শিশুদের আনন্দের খোরাক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক বিকাশেও ভূমিকা রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।