জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মহারাষ্ট্র অঙ্গরাজ্যের মুম্বাই শহরের জুহু এলাকার আরোগ্য নিধি হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন ধরেই ভর্তি ছিলেন আসরানি। তার ফুসফুসে পানি জমে গিয়েছিল। কয়েকদিন চলে যমে মানুষে টানাটানি। অবশেষে দীপাবলির আলোর মাঝে হারিয়ে গেলেন হিন্দি সিনেমার কিংবদন্তি কমেডিয়ান।
হিন্দি সিনেমায় আসরানির ছিল প্রায় পাঁচ দশকের রাজত্ব। থিয়েটার থেকে বড় পর্দায় আসেন তিনি। রাজস্থানের জয়পুরে জন্ম তার। মুম্বাইতে পা রাখেন একেবারেই অভিনয়ের নেশায়। পার্শ্ব চরিত্রে থেকেও টক্কর দিতেন সেই সময়ের দাপুটে অভিনেতাদের সঙ্গে। ৩৫০টির বেশি হিন্দি, গুজরাটি ও পাঞ্জাবি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কিছু চিত্রনাট্যও লেখা ও পরিচালনাও করেছেন আসরানি। ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘চলে মুরারি হিরো বননে’ সিনেমায় মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। ওই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য ও পরিচালনার দায়িত্ব নিজেই সামলেছিলেন। ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সালাম মেমসাব’ ছবিটিও নিজে পরিচালনা করেছিলেন।
তার অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে চুপকে চুপকে, মেরে আপনে, বাওয়ারচির মতো সিনেমা, যেখানে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। হালফিলের ভুল ভুলাইয়া ছবিতেও দেখা গিয়েছিল তাকে। তার কমিক টাইমিংকে বাজিমাত করতে পারতেন না কেউই। আর ‘শোলে’র দাপুটে জেইলারের কথা হয়তো সিনেপ্রেমীরা কোনোদিনও ভুলবেন না।
আসরানির মৃত্যুতে বলিউডজুড়ে নেমে এসেছে শোক। অমিতাভ বচ্চন তাকে স্মরণ করে লিখেছেন, ‘অভিনয়ের এক যুগের অবসান।’ ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘দীপাবলির আলো নিভে গেল।’





