নিহতরা হলেন—বেড়া উপজেলা নাকালিয়া ইউনিয়নের মৃত আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী রহিমা খাতুন (৬০) ও ঈশ্বরদী উপজেলার অরণকোলার আবু বক্কারের ছেলে মেহেদী হাসান (২৬)।
স্থানীয়রা জানান, রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মাগরিবের আযানের সময় নিজ বাড়ি থেকে গলাকাটা অবস্থায় চিৎকার করে দৌড়ে এসে পাশের আবদুল হানিফের বাড়িতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। রক্তাক্ত ও গলা কাটা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথেই আজ তিনি মারা যান। দুর্বৃত্তরা তার গলার চেইন ও কানের দুল কেটে নেয় বলেও জানা যায়।
আরও পড়ুন:
স্থানীয়রা ধারণা করেন, ডাকাতি করতে এসে তারা তার গলা থেকে চেন ও কানের দুল খুলে নেয়। দুর্বৃত্তদের চিনে ফেলায় তাকে গালা কেটে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার বলেন, ‘পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এছাড়া হত্যা রহস্য উদঘাটনে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করছেন।’
এদিকে ইশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ধানক্ষেতে যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা তদন্ত করে জানা যাবে।’ তিনি জানান, মেহেদীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।





