প্রথম আলো–ডেইলি স্টারে হামলা: লুটের টাকায় টিভি–ফ্রিজ কিনেছিলেন গ্রেপ্তার নাইম

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে আগুনের ছবি
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে আগুনের ছবি | ছবি: এখন টিভি
0

দৈনিক প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও উদীচীর কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রাকিব হোসেন ও মো. নাইম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হয়েছেন। গ্রেপ্তার নাইম লুট করা টাকা দিয়ে টিভি ও ফ্রিজ কিনেছিলেন। আজ (সোমবার, ২২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন— মো. কাশেম ফারুক, মো. সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন, মো. নাইম, ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, মো. সোহেল রানা ও মো. শফিকুল ইসলাম।

এছাড়া কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে; তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই চলছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে জানায়, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের কাছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার ঘটনায় তিনজনকে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার কাশেম ফারুক বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র ও মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা। মো. সাইদুর রহমান ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন:

শেরপুর জেলার বাসিন্দা রাকিব হোসেন প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভিডিওতে শনাক্ত হন। তিনি ধ্বংসস্তূপের ছবি তুলে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন এবং উসকানিমূলক পোস্টও দেন।

অন্যদিকে, ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নাইমকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে লুট হওয়া ৫০ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাইম স্বীকার করেছেন, তিনি মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেছিলেন। ওই টাকা দিয়ে মোহাম্মদপুর থেকে একটি টিভি ও একটি ফ্রিজ কেনেন, যা পরে উদ্ধার করা হয়েছে।

ঢাকার কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অতীতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে এবং ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান।

এনএইচ