অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নওশাদ হাসান। তবে এ সময় কারখানা সম্পৃক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, সদর উপজেলার ডাক্তারের মোড় সংলগ্ন সামসুদ্দীনের নর্থ বেঙ্গল গ্রেইন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড অটোরাইস মিলের কাছে মেইন রোড সংলগ্ন একটি চালকলের গুদাম ভাড়া নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি অনুমোদন ছাড়াই গোপনে গড়ে তুলেছিলেন নকল মৎস্য ও প্রাণী ওষুধ তৈরির কারখানা। সেখানে বিভিন্ন কোম্পানির নাম ও মোড়ক ব্যবহার করে নকল মৎস্য ও প্রাণী ওষুধ তৈরি এবং বাজারজাত করে আসছিলেন।
বিষয়টি জানার পর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য অফিস ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় গুদামে তালাবদ্ধ থাকায় গুদামের মালিকের উপস্থিতিতে তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করা হয়।
এসময় সেখানে এভেটা, নাভারা, বাজাজ ও গ্ল্যাক্সো গ্রুপসহ এগ্রোভেট কোম্পানির নাম ও মোড়ক ব্যবহার করে নকল মৎস্য ও প্রাণী ওষুধ এবং ওষুধ তৈরির উপকরণ ও মেশিন পাওয়া যায়। পরে সেগুলো ধ্বংস ও কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. বায়েজিদ আলম, গ্ল্যাক্সো এগ্রোভেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিম আহমেদ ও সদর থানার পুলিশ সদস্যরা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নওশাদ হাসান বলেন, ‘এখানে বিভিন্ন কোম্পানির মোড়ক ব্যবহার করে অবৈধভাবে নকল মৎস্য ওষুধ তৈরি করা হচ্ছিল বলে গোপন সংবাদে জানা যায়। পরে অভিযান চালিয়ে নকল ওষুধ তৈরির বিভিন্ন উপকরণসহ অনেক মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া কিছু মালামাল ধ্বংস করা হয়েছে। তবে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকে পাওয়া যায় নি। পরবর্তীতে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গ্ল্যাক্সো কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিম আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কোম্পানির মোড়ক ব্যবহার করে তারা নকল ওষুধ তৈরি করছিল। জানি না তারা কতদিন থেকে নকল ওষুধ তৈরির এ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তাদের কারণে আমাদের কোম্পানির সুনাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। বিভিন্ন জায়গায় থেকে প্রোডাক্টের গুণগত মান নিয়ে অভিযোগ আসছিল। আমরা কোনো সমাধান পাচ্ছিলাম না। আজ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সেটার সমাধান হলো। যারা বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের অনেক ধন্যবাদ।’





