আজ (সোমবার, ১০ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এর আগে বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে হামলা করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয় সকাল সাড়ে ১০টায় খালিদ হাসান উত্থান ও কাজী লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান।
তাদের কী সেবা দিতে হবে জানতে চাইলে বিএনপির নেতাকর্মীরা কর্মকর্তাদের জানান, তারা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে, সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করা হয়। এর প্রতিবাদ করলে নির্বাচন কর্মকর্তার ওপর হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। কয়েকজন মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাদেরও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে গালিগালাজ করা হয়।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু রায়হান, ডাটা এট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনসহ বেশ কয়েক জন আহত হন।
আরও পড়ুন:
ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেন বলেন, ‘তাদের শুধু ফেরাতে গিয়েছিলাম। কাউকে কোনো কিছু বলিনি। আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিয়ে তাদের বেদম মারধর করা হয়েছে। যেখানে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়নি, তার আগেই নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’
মামলার বাদী গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে যান। সোমবার এসেই তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ আওয়ামী লীগের ট্যাগ দেয়া শুরু করেন।
এ ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এ ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। তাদের কাছে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় নিরাপত্তার জোরদারের দাবি করা হয়েছে।’
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনাটি ন্যক্কারজনক। তাদের কোনো ভুল থাকলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে অবগত করতে পারতো। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ঘটনায় কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে ও নির্বাচন অফিস এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।





