বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আমদানি নথি অনুযায়ী গত ৯ অক্টোবর পাকিস্তান থেকে ৩২ হাজার ১০ কেজি পাখির খাদ্য আমদানি করা হয় চট্টগ্রামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আদিব ট্রেডিংয়ের নামে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কন্টেইনার দুটির খালাস প্রক্রিয়া স্থগিত করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখা। পরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের উপস্থিতিতেই কন্টেইনার দুটি পরীক্ষা করা হয়।
কাস্টমসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কন্টেইনারের দরজার পাশে শুরুর দিকে সাত হাজার ২০০ কেজি পাখির খাবার রেখে এর পেছনে প্রায় ২৫ হাজার কেজি পপি সিড ঢেকে রেখে কৌশলে আমদানি করা হয়।
আরও পড়ুন:
আমদানিকৃত এ পণ্যের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা বলেও এ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মাদক হিসেবে বিবেচিত হওয়ায়, আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী, বাংলাদেশে পপি বীজ আমদানি করা নিষিদ্ধ।
পপি বীজ মূলত মাদকের উপাদান হওয়ায় ২০১৮ সালে এটিকে আমদানি নিষিদ্ধ করে সরকার। তবে বাজারে এটি পোস্ত দানা হিসেবেও বিক্রি হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ এ পণ্য যারা বাংলাদেশে এনেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।





