আজ (মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাশেদ।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল বন্দর এলাকায় বাচ্চাদের পোশাক ব্যবসা করতেন। ব্যবসার সূত্র ধরে নিহত আলমগীর হোসেন ও তার ছেলে মুন্নার কাছ থেকে তিনি বেশ কিছু টাকা ধার নেন। পরবর্তীতে টাকা পরিশোধ না করায় দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
ঘটনার এক সপ্তাহ আগে আলমগীর জুয়েলের একটি মোটরসাইকেল তার বাসায় আটকে রাখেন। এর জের ধরে গত ৩ অক্টোবর বিকেলে পারভেজ নামের এক ব্যক্তির গ্যারেজে সালিশ বসে। কিন্তু আলমগীর সালিশে না গেলে আসামি জুয়েলের নির্দেশে সহযোগীরা তাকে ধরে গ্যারেজে নিয়ে যায়।
মোস্তফা কামাল জানান, সেখানে আলমগীর ও তার ছেলে পাওনা টাকা চাইলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে হাতুড়ি ও এসএস পাইপ দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
আরও পড়ুন:
গুরুতর আহত অবস্থায় আলমগীরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ অক্টোবর মারা যান।
এ পুলিশ সুপার বলেন, ‘পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা মামলাটি ৬ অক্টোবর স্ব-উদ্যোগে অধিগ্রহণ করে এবং একই রাতে নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশ জেলায় অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী জুয়েল ও তার সহযোগী আকিব ইবনে রাতুলকে গ্রেপ্তার করে।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আকিব হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করে জানায়, আসামি জুয়েলের পরিকল্পনা ও নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
তিনি আরও জানান, পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ মামলায় মোট ১৯ জন এজাহারনামীয় আসামি এবং ছয় থেকে সাতজন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে। নিহতের বোন মোছা. কল্পনা বেগম (৪৫) বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলাটি করে। মামলা রুজুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মূল পরিকল্পনাকারী ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।




