এসময় একই এলাকার সিরাজুল, আব্দুর রহিম ও তার ভগ্নিপতি রওশান আরার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব ভারতীয় মালামাল উদ্ধার করা হয়। এসময় অবৈধভাবে নিয়ে আসা ভারতীয় মালামাল সংরক্ষণের অভিযোগে রওশনারা নামের এক নারীসহ মোজাম আলীসহ তিনজনকে আটক করা হয়। আটক অপর দুজন হলো আশরাফ হোসেন লাটা ও মোজাম আলী।
কালিগঞ্জ সেনা ক্যাম্প সূত্র জানিয়েছে, ভারত থেকে চোরাইপথে বিভিন্ন ধরণের ওষুধ এনে বিক্রি করতো চক্রটি। আব্দুর রহিম ও তার বোন রওশন আরার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ওষুধ ও দুই বস্তা ভারতীয় বিড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দ বা উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামালের তালিকা প্রস্তুতসহ আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
আরও পড়ুন:
এদিকে স্থানীয়রা নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে, অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়তেই চোরাচালান চক্রের অপরাপর সদস্য সিরাজুল, সিদ্দিক, আবু, কাশেম, আব্দুর রহিম, রফিকুল কৌশলে পালিয়ে যায়। সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা রাজনীতির সাথে জড়িত। গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে সুন্দরবনকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে চোরাইপথে ভারতীয় মালামাল আনা নেয়া করছে।
স্থানীয়রা আরও জানায় সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে আনার পর রাতের বেলা অবৈধ ভারতীয় মালামাল তারা নিজ বাড়িতে রাখে। পরে সুযোগ মতো রাতের বেলা মাইক্রো ও মাহেন্দ্রযোগে সাতক্ষীরা দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে। এর আগে পুলিশ কয়েক দফা একই চক্রের সদস্যদের আটক করতে অভিযান চালালেও চোরচারকারীরা রুট পরিবর্তন করায় সফল হতে পারেনি।





