আজ (বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন) দুপুরে সাজেকের ১১ কিলো নামক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। বাঘাইহাট জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে লেফটেন্যান্ট আয়মান ইনতিসার মজুমদার এ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করেন।
মূলত এই দুইজনকে দীঘিনালা ও মারিশ্যা সড়কে চাঁদা আদায়ের সময় আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশিয় পিস্তল (এলজি) একটি, কার্তুজ দুইটি, এমুনেশন (বল) তিন রাউন্ড, চাঁদা আদায়ের রশিদ (ল্যামিনিটিং) ১২টি, চাঁদা আদায়ের রশিদ বই ১২টি, নগদ ৪০০ টাকা, মোবাইল ফোন একটি, হিসাবের খাতা একটি, চাপাতি একটি, রামদা একটি, গুলতি একটি, নোটবুক চারটি, ব্যাগ দুইটি, চাঁদা আদায়ের হিসাবের কাগজ ২১টি, রাফ খাতা বড় একটি জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত এসব মালামাল ও আসামিদেরকে বাঘাইছড়ি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘তথ্য রয়েছে, ইউপিডিএফ (প্রসীত) দলের সশস্ত্র সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্রের মুখে স্থানীয় জনসাধারণকে জিম্মি করে ওই এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। এর আগেও বাঘাইহাট জোন শুকনাছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফের অস্ত্র সহ চাঁদাবাজ ধরতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষের শান্তিশৃঙ্খলা অটুট রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। বাঘাইহাট জোন কোনো অবস্থাতে কোনো সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে বা পাহাড়ে শান্তি বিনষ্টকারীকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দিবে না। বাঘাইহাট জোনের আওতাধীন, যেখানেই চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম করবে সেখানেই বাঘাইহাট জোন অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।’