স্পেশাল জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) আইনজীবী মো. শাহজাহান কবীর জানান, ২০১৪ কালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে শামসুল বাড়ির পাশে ফসলি জমিতে কাজ করছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, তার স্ত্রী রাহিমন, মেয়ে রোজিনা ও ছেলে রফিকুল ইসলাম দেশিয় অস্ত্র নিয়ে শামসুলের ওপর হামলা করে।
পরে শামসুল আলমকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় নেয়ার পর শামসুল মারা যান।
আইনজীবী আরো জানান, ঘটনার পর ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি শামসুলের স্ত্রী জামিরন বেগম বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পুলিশ আব্দুর রাজ্জাক, তার স্ত্রী রাহিমন, মেয়ে রোজিনা ও ছেলে রফিকুল ইসলামের নামে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন।
২০১৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রধান আসামী আব্দুর রাজ্জাক মৃত্যুবরণ করার পর ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট অপর তিন জনের নামে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। রফিকুল ইসলাম শিশু হওয়ায় শিশু আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছেন।
আইনজীবী মো. শাহজাহান কবীর বলেন, ‘আমরা সঠিক বিচার পেয়েছি। রফিকুল ইসলামের বিচার কার্যক্রম দ্রুত শেষ হবে।’
মামলার বাদী জামিরন বেগম বলেন, ‘আমি সঠিক বিচার পেয়েছি। রফিকুল ইসলামকে অভিযোগ পত্রে শিশু উল্লেখ করলেও তিনি শিশু নয়। তার ফাঁসি দাবি করছি।’