আদালতপাড়ায় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও আইনজীবীরা

সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে আসা আইনজীবী
সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে আসা আইনজীবী | ছবি: এখন টিভি
0

সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের রিমান্ড শুনানিকে কেন্দ্র করে নিম্ন আদালতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করা সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতের সামনে আজ (মঙ্গলবার, ১৩ মে) বিকেলে বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবী সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল (সোমবার, ১২ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আজ দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে মমতাজকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। বেলা ৩টার দিকে তাকে ঢাকার মহানগর হাকিম জুয়েল রানার আদালতে তোলা হয়।

এ সময় আদালতে অন্য মামলার শুনানি চলছিল। তবে মমতাজ বেগমকে আদালতে নেয়া হলে পুরো এজলাস কক্ষ পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় কিছুটা হট্টগোলের তৈরি হয়।

মমতাজ বেগমকে যখন এজলাসকক্ষে নেয়া হয় তখন সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহের জন্য সেখানে যান। তারা এজলাসকক্ষে প্রবেশ করেন। তখন দুই আইনজীবী মাহবুব আলম ও আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এজলাস কক্ষ থেকে বের করে দেয়ার জন্য বলেন। এ নিয়ে কিছু কথা কাটাকাটি হয় দু’পক্ষের। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

মমতাজের সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত তার চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডের আদেশ হওয়ার পর মমতাজ বেগমকে হাজতখানায় নেয়া হয়। পরে আইনজীবীরা ব্রিফ করতে সিএমএম আদালতের সামনে রাখা ডায়াসের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে নিজেদের (আইনজীবীদের) মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

এ সময় দুই বেসরকারি টেলিভিশনের সংবাদকর্মী আইনজীবীদের শান্ত হয়ে সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। এরপরই সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন আইনজীবী মাহবুব আলম ও আক্তার হোসেন।

উপস্থিত অন্যান্য সাংবাদিকরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। তারা আরো চড়াও হন। কে কোথায় কাজ করেন তা দেখে নেয়ার হুমকি দেন। হেনস্তার শিকার হন উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক। বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবী তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী অভিযুক্ত দুই আইনজীবীকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

সাংবাদিক সিয়াম বলেন, ‘মাহবুব আলী, আক্তার হোসেন বারবার সাংবাদিকদের বলছিলেন, আদালত আমার, এখানে আমরা যা বলব তাই হবে। এতে সাংবাদিকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বাড়ে। পরে তিনি আমাকে দালাল সাংবাদিক, ধান্দাবাজ বলে গালি দেন। তিনিসহ আরো কয়েকজন আইনজীবী গায়ে হাত তোলার জন্য তেড়ে আসেন।’

এ ঘটনায় কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি লিটন মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক মামুন খান। জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।

এসএস